নৈশ প্রহরীর দায়িত্বটা একাই নিয়েছিলো হাসু মিয়া।
তাই পলকহীন চোখজোড়া একাই জেগে থাকে,
তাকে আজ আর কিছুই বুঝিয়ে দিতে হয় না।
অবশ্য প্রথম প্রথম কয়েকটা দিন যা শেখানোর
শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিলো সে।
সেগুলো বোধহয় আজও এক রকমই আছে ,
তাতে বিন্দুমাত্র এদিক সেদিক হয়নি।
অতন্দ্র প্রহরী এই চোখজোড়া আজ এতটাই দায়ীত্বশীল হয়ে উঠেছে তাকে কিছুই আর বলে দিতে হয় না কখন তাকে কি ভঙ্গিতে থাকতে হবে অথবা কার দিকে কোন দৃস্টিতে তাকাতে হবে।
সে অবশ্য জানেনা কত কাল আর এভাবে তাকে
এই দায়ীত্বে অটল থাকতে হবে।
তাতে তার বিন্দুমাত্র অবজ্ঞা হয় না,
নেই কোনো ক্লান্তির ছাপ। যদিও কখনো একটু নিদ্রা তাকে হাতছানি দেয় অথবা আলিঙ্গন করার চেস্টাও করে, তবে অমনিই সে ততপর হয়ে ওঠে একটু হাক- ডাক দেয় ব্যাস তাতেই তার লো ব্যাটারী আবার পূর্ন হয়ে যায়।
যেন এটাই তার জন্ম- জন্মান্তরের রীতি,
নাকি এটাই তার নিয়তি?
যাকে সে আপন করে মেনে নিয়েছে?
তাইতো সে আজও রাতজাগা অতন্দ্র প্রহরী।