আমি তাকে শরতের শুভ্র কাশফুল;
আর সাদা মেঘের ভেলায়-
চড়াব বলে কথা দিয়েছিলাম।
সে আধাঁর ভালবেসে কালো রাত্রি হয়েছে!
এখন অমনিষার আধাঁরে মরীচিমায়ায় আচ্ছন্ন,
অথচ আমি তো তাকে শুভ্রজ্যোৎস্না আর মেঘদলের সাথে রাখতে চেয়েছিলাম!


আমি অবিরত চলেছি তোমার পানে-
যেমনে প্রজাপতি ছোটে মধুর টানে।
যেমনে বৃষ্টির টানে চাতক ডাকে,
যেভাবে পাপড়ি রেণু ঢেকে রাখে।


বিষাদের রঙে পুড়েছে যে;
বৈশাখের রঙ আর তাকে কি রাঙাবে!
অমোঘ শেষঘুম আর কে ভাঙাবে!
যে চলে গেছে মৃত নদীর মত শীতে-
ফিরবে কি আর নব কল্লোলিত  গীতে?
যে থাকে চিরশ্রাবণে-
বসন্ত-বৈশাখে বা কোন মাহেন্দ্রক্ষণে
ফুটবে না সে ফুল কোন জাগরণে!


জীবন যাচ্ছে জীবনের মত চলে-
কি আর ই বা হবে?
একজীবনে তুমি আমার পুরোটা না হলে!
তোমারে যে পেয়েছি হ্মণিকের জীবনে,
তাহা ই আমার বড় প্রাপ্তি।
অনুভব করে যায় প্রতিটা হ্মণে।


গোলকধাঁধার এ বৃহৎ পরিসরে;
যদি তার সাথে না হয় দেখা-
নহ্মত্রের মত আলোকবর্ষ দুরত্বে আমি,
জন্ম ই আমার আজন্ম মৃত্যুর ন্যায় শুনশান একা!