তীব্র বর্ষণস্নাত বালুকণা,ক্ষণকাল পড়েই যেমন শুষ্কবেশ ধরে,
যেমন কালাবর্তনে শ্রাবণের পর বসন্ত আসে-
তেমনি করে এ পোড়া কোঠরে,
শ্রাবণধারায় সব কালিমা ধুঁয়ে;
শরতের ভাসা ভাসা শুভ্র মেঘ আর কাঁশে।
বসন্ত রঙে আমার ভেতরে ভালবাসা জেগেছিল!


আমি চেয়েছিলাম আমার প্রিয়দের মত করে ভালবাসতে।
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ভালবাসা প্রকাশের জিনিস নয়,
তা অনুভব করার বিষয়!
অগত্যা তোমাকে না বলেই নিজের ভিতরে ভালবাসা পুষলাম!


হাওয়া বদলালো,
মৃত নদী বর্ষায় নবযৌবনা হলো-
শুন্যপত্রের গাছ হলো নবপল্লবে পল্লবিত,
আমার ভিতরে ভালবাসা অস্থিমজ্জা,ধমনী,শিরা উপশিরায় ছড়িয়ে পড়লো!
খুব করে চাইলাম গুণ বাবুর মত স্ট্রেইটকাট বলি 'ভালবাসি'।
প্রেমিকের হৃদয় কোমল ও ভয়ার্ত ছিল।
তাই আর বলা হয়ে উঠেনি!
ইচ্ছা করলো হুমায়ুন স্যারের মত বলেই দিই-
তুমি কি আমার গুহাচিত্র আকাঁর জন্য আধাঁরে প্রদীপ ধরবে?
তাও বলা হয়নি-


তবুও নির্লজ্জের মত প্রিয় চরিত্রের নিমিত্ত বলে উঠলাম রুপা হবে?
উত্তরের জন্য যখন আমি উদ্বিগ্নচিত্তে সিগারেট ফুঁকছিলাম-
তখন হঠাৎ ই বলে বসলে না,রুপার অনেক কষ্ট!
খানিক থেমে আমি বললাম,
তুমি বরং অনুরণ ই হও,
তোমার লাগামছাড়া  ফিসফিসানি-
আমাকে আজীবন অনুরণন ই করুক!
মনে হলো সহসা ই নতুন অভিব্যক্তি দিলে,
যার ভাষা আমার জানা নেই।
বোকার মত প্রশ্ন করলেম,কী বুঝব?
তুমি বললে কিছুই বুঝতে হবে না!
হয়তো সময় যাবে এভাবেই উত্তর না মেলা নিশ্চুপতায়-
আমার হয়তো বিশাল অস্থিরতায়।


হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম-
তোমায় আমার প্রিয়দের মত করে ভালবাসব না।
আমি আমার মত করেই তোমাকে চাইবো!
খুব করে ভালবাসব-


তুমি আমার হও কিংবা না হও,
ভালবাসা এক নতুন মাত্রা পাক।
নতুনত্বের পথ চিনুক-
যেমন তোমার(মুক্তার) অভাবে আমি গুটিয়ে যাওয়া ঝিনুক!


তোমাকে ভালবেসে আমি কিছু পাই আর না পাই,
অন্তত যেন একান্ত ই তোমার প্রেমিক হই,
যতটা ভালবাসলে চিরায়ত অনুভবে থাকো-
মনে হয় তুমি-আমি ভিন্ন নই।


তুমি কি আসবে?
আমার মনমেঘের ভেলায় ভাসবে?
শরতের এ স্নিগ্ধ সমীরণে
মিশে যেও আমার মনে-প্রাণে!