বাগবিতণ্ডার এক শীতল মহাযুদ্ধ শেষে;
দুজনা দুজনের মত নিঃশ্চুপ,
অথচ হিরোসিমা,নাগাসাকির মত-
আমার ভিতর তীব্রতর অসহায়ত্ব,পঙ্গুত্ব!
প্রতিটা ক্ষণ ই জ্বালায়-পোঁড়ায়।
আচ্ছা,তার ভিতরও কি এমন?
এই যে প্রতিটা ক্ষণ তারে-
ভেঙ্গেচুরেও,চেয়ে যাচ্ছি যেমন!


আমাদের অভিমান ঠিক হয়ে উঠে না-
যার জন্য আমি কোজাগরী চাঁদ ছিলাম,
তার সখ্যতা ছিল শান্ত নদীর সাথে!
অদৃষ্টের লিখনে কখনো ই মিলন হয়নি একান্তই নিভৃতে।


হোক সে অল্প পরিচিত,নিকট-দূরত্বের মানুষ;
তবুও তার ব্যর্থতা,কষ্ট আমাকে ভাবায়-পোড়ায়।
আমার ঠিকরে পড়া আলোকতড়িৎ তাকে স্পর্শ করে না ঠিক ই-
কিন্তু তার খুব কাছের না হয়েও-
কী ভীষণভাবেই না,তার পীড়া,অশ্রুজল আমার হয়ে গেছে!


দুর্বার চঞ্চলমতি অশান্ত হৃদয়,
প্রতিমুহূর্ত বারবার প্রশ্ন করে-
কেন তোমার জন্য এতটা মত্ত আমি?
কেন তোমার পানে অনুগামী?
কেন সতত তোমায় নিয়ে লিখে-ভেবে চলি?
আচ্ছা,হৃদয় কি জানেনি?
আমি তোমায় ভালবাসি-
তোমার জন্য আমার অনিঃশেষ অনিন্দ্য অনুভূতি;
হৃদয় কি ভালবাসা বলে চিনেনি?


হয়তো আমার হৃদয় কিংবা তোমার কাছে,
এ সম্পর্কের অন্যনাম!