আমি রোজই তার প্রেমে পড়ি,
আর প্রতি মুহূর্তে আশায় থাকি,
খুব বেশি নাহ;
অন্তত একটিবারের জন্য হলেও সে আমায় ভালবাসুক।
হায় ঈশ্বর!
ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে,
পুরো জীবনটাই একটা ভুল হয়ে গেল!


তারচে বরং তুমি কবিতায় থাকো-
কিংবা কবিতা হও-
এইতুকুই আমার স্বস্তি!
ফুলে ফুলে সবকিছু ঢেকে দেওয়ার নিরেট বিশ্বাস,
চিরধরা স্বপ্ন,অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
মেঘের সওয়ারী দেখে পাহাড়ের বিশালতা,
গুটিয়ে নেয় দূরসমুদ্রের গর্জন দেখে......
প্রকৃতির তান্ডব আর কতটা ভোগাবে?
প্রতিনিয়ত মরতে থাকা প্রেমিক একজীবনে আর কতটাই বা নষ্ট হয়!
ঈশ্বর,তুমি ভালবাসার প্রতি এক সচেতন অবিচার!
ঘুণধরা,সেন্সরবিহীন একপাক্ষিক প্রেমেরও সাহস থাকে.......
তা থেকেই আশার বৃষ্টি-
অথৈ জলে পবিত্র পাপের গঙ্গাস্নান......
তবুও আর পাপমোচন হয়না!
মেলেনা মুক্তি-
কেবল তুমি,তুমি,তুমি........
আর মৃত্যুতেই এ মহাকালের অনির্বাণ!  


আজকাল নিজেকে বড্ড দুরারোগ্য ব্যধিগ্রস্থ মনে হয়!
যেন অনন্তকাল হাসপাতালে পড়ে আছি-
অথচ তুমি ছাড়া আমার কোনো চিকিৎসা নেই।
আর কোনো চিকিৎসকও নেই.......
আমার রোগ মুক্তি তোমাতেই।
তুমি অমৃত ছেড়ে গরলে গলা মক্ষিকা;
ভুল জন্মে আমার অসাড়তার করুণ বিভিষীকা......
চিকিৎসক আছে তবুও সবার অলক্ষে চলে যাব আমি-
আচ্ছা,এর কোনো মানে হয় অন্তর্যামী?


আমি নিকষ আধাঁরে নিমজ্জিত!
আমার দৃষ্টি প্রদীপ হয়ে জ্বালো-
জন্ম-মৃত্যু,প্রণয় ভেঙ্গে;দীপাবলির আলোর মত!