কালো কিংবা কুৎসিত চেহারার মানুষেরা,
চিরায়ত অবজ্ঞা পেয়ে যায়-
না চাইতে ই মানুষের করুণা পায়,
সে করুণার ছত্রতলে ভালবাসা থাকেনা!
সবাই নীতিবাক্য প্রসব করে,দর্শন কপচায়।
চেহারা কিংবা স্মার্টনেস কিছুনা,মনটা ই আসল!


অথচ দিনশেষে ওই কালো মানুষ টা ই অবজ্ঞার স্বীকার।
ঈশ্বর,আপনার সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব নাকি মানুষ?
আচ্ছা তারা কি আদৌ মানুষ!
যারা মানুষের বিচার করে শুধু চামড়া দিয়ে?
না,ঈশ্বর না।
তারা মানুষ হতে পারেনি!
বুঝেনি পৃথিবীর রুপ,রস,গন্ধ-সৌন্দর্য-এ সবার অধিকার আছে।
তাদেরও মন ছিল কাউকে তীব্রভাবে ভালবাসার।
খুব করে কাউকে কাছে পাবার!
ঈশ্বর ওরা স্বার্থ ছাড়া ভালবাসেনি,
মন কি? চেনেনি, জানেনি!
তিক্ত সত্য -
ঈশ্বর ওরা মানুষ হতে পারেনি


কালো ছেলেটি কিংবা মেয়েটি-
একটি সোনালি সকালের স্বপ্ন দেখে।
ভরদুপুরে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে,
খুব নিভৃতে কারো আচল কিংবা বাহুতে নিজেকে লুকাতে চায়।
পড়ন্ত বিকালে কারো কোলে মাথা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে;
গোধুলিতে কোন এক অজানার উদ্দেশ্য হারাতে চায়।
সে কোন লোলুপতায় আশ্রিতজন নয়।
তবুও চায় মধ্যরজনীতে তোমার পরশে সে যেন শিহরিত হয়।


আচ্ছা,তুমি কি চাকচিক্যময়তার বৃত্ত অতিক্রম করতে পারবে?
কখনো নিজের নয়নমণির আলোকে উদ্ভাসিত হতে পারবে?
পারবে সত্যিকারের ভালবাসা চিনতে?
জানি,একদিন তোমার চেতনামণি  উজ্জ্বল হবে,
সেদিন তুমি সত্যের রুপরস,গন্ধ চিনতে পারবে।
অকপটচিত্তে স্বীয় ভুল স্কীকার করে বাহুডোরে জড়াবে তারে,
ছিন্ন করবে তার কষ্টময় অবজ্ঞার বন্ধন,
মুক্তি দিবে তোমার প্রেমপূর্ণ শহরে
ডানা ঝাপটানোর।
সে দিন পূর্নতাপাবে আত্মার বহু যাচিত আশা,
পূর্ণতা পাবে কবির যাচিত প্রার্থনা-


"কালো আর ধবল বাহিরে কেবল,
ভিতরে সবার সমান রাঙা।"


আচ্ছা এমন কি কখনো হয়?
নাকি কবিরা যুগেযুগে কেবল-
কথার মায়ায়,আশা জাগিয়ে যায়!