একটুখানি ডিম্বানু আর পাঁচ মাইক্রন শুক্রাণু দিয়ে মানুষ হয়।
তবুও আমি চতুর্দিকে কোনো মানুষ দেখিনা!


আমি দেখি হিন্দু-মুসলিম,
বৌদ্ধ-খ্রিস্টান।
দেখি মালাউন;
কাঠমোল্লা,জঙ্গী।
খুঁজতে থাকি ফাঁকফোকর যেখানে ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানা যায়!
খুব করা স্বার্থোদ্ধার করা যায়!


প্রতিবছরই তো কোথাও না কোথাও মসজিদ-মন্দির ভাঙ্গা হয়,
বৌদ্ধ পল্লী পুড়িয়ে দেওয়া হয়,
হিন্দু-মুসলিমদের হত্যা করা হয়,
খ্রিস্টানদের অপদস্ত করা হয়।
মুসলিমদের জঙ্গি বানানো হয়!


হিন্দু মরলে আমি ব্যথিত হই,
মুসলিম মরলে তোমার হৃদয়ে আঘাত লাগে।
বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মরলে সে/তারা কষ্ট পায়!
অথচ স্বধর্ম ব্যতিত অন্য ধর্মের লোকের উপর বুলডোজার চালালেও,
বিবেক স্থির রয়,আর নড়ে না!
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে,ধর্মান্ধরা প্রতিনিয়ত ধর্মকে মারে।
বিশ্বাস করুন-
আমরা ধর্মাভিমানী,
আমরা স্বজাত্যভিমানী!


মানবধর্ম বলতে কোন কালে কোন ধর্মমত ছিলো বলে আমার জানা নেই!
আমি জেনেছি-
মানবধর্ম শুধু লোক দেখানো সুশীলদের আওরানো ফাঁপরবুলি!
মানবধর্ম কিংবা মানবতা ক্ষণকালের জন্য জন্মানো,অচ্ছনে যাওয়া প্রতারিত নিছক শব্দ মাত্র!


আমাদের বোধ-বুদ্ধি,শিক্ষা আছে-
তবুও নেই অন্য ধর্মকে সম্মান জানানোর মানসিকতা;
অন্য ধর্মের অনুভব অনুভূতির সাথে আসেনা।
আমরা ধর্মের ঢাক পিটিয়ে যাই-
খুঁজি হিন্দু-মুসলিম,বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের দোষ।
ধর্মাভিমান,স্বজাত্যপ্রীতির লেবাস খুলে,
মানুষের জন্য প্রতিবাদ করার সময়,সৎ  সাহস কোথায় আমাদের?
উত্তর?
নেই.........
বস্তুত এত্ত মানুষের ভিড়ে খুব সামান্য সংখ্যক মানুষই সত্যিকারের 'মানুষ'!


একটুখানি ডিম্বানু আর পাঁচ মাইক্রন শুক্রাণু দিয়ে নাকি মানুষ হয়।
চারিদিকে এত্ত যে মানুষ দেখি
কই?
প্রকৃত মানুষ তো দেখিনা!