সে ছিল আমার অনন্ত বসন্তের কারণ-
তাকে করেছিলাম মনোরাজ্যের রাণী,
নদী মিশেছে অন্য সাগরে,
পথ হারিয়েছে তথাকথিত আমার স্রোতস্বিনী


যার জন্য হঠাৎ থমকে গেছে আমার পৃথিবী,
সে কখনো আমার উত্তাল সমুদ্রের
উপচে পড়া জলরাশি দেখেনি,
কিংবা কখনো আমার শান্ত বুকে ভাসেনি,
নব প্রভাত বা নির্ঘুম রাতে আমার উদ্বিগ্নচিত্ত মুখাবয়ব দেখেনি,
তার জন্য আমার নিশি বটের নিশ্চুপতা,
চার দেয়ালে গুমড়ে মরা-
রাতে খোলা আকাশে কিংবা ছাদে বিরহপীড়ন;
বৃষ্টিতে ভিজে জল লুকানো,
আমার ঘোর স্তব্ধতার অজস্রতা দেখেনি।
আমার অনিন্দ্য বেলায় আসলেও,
রিক্ত বেলায় আসেনি,কিংবা পাশে থাকেনি!


মুখে ভালবাসি বললেও-
দেহ কখনো মিথ্যা বলেনি,
সেই ভালবাসা স্বার্থসিদ্ধি ছিল।
শারীরিক অভিব্যক্তি স্বীকার করেছে-
ও আমায় ভালবাসেনি!


ভালবাসলেই তো স্বার্থসিদ্ধি এমনি ই হয়,
তবুও কেনো মানুষ স্বার্থনিমিত্ত ভালবাসে?
যে ভালবাসায় স্বার্থজড়িত;
সেই ভালবাসা তবে অন্য সম্পর্ক,
আবেগ-বিবেক,প্রেম বহির্ভূত!


ভালবাসলে অন্তত এভাবে ভালবেসো,
যাতে তার হৃদয়টা তোমার হয়ে যায়।
দুটি দেহে এক সত্তা হয়!
কারণবাদের নিয়ম ভেঙে;
জীবনান্তের শেষ প্রহরে-
তার কোল ই যেন হয় শেষ আশ্রয়!