সেই যে তোমার ফেরার কথা,
তুমি ফিরছো না,
আমি চাপা অভিমানে চলে যেতেই-
আমার নাম ধরে ডাকছো না......
যদি এই বিষণ্ণতা পোড়া রোদ্দুরে,
পথ হারাও কোন সমুদ্দুরে।
ফিরে দেখো-
আমি আছি-
শীতলপাটি কিংবা বটবৃক্ষ হয়ে!
নতমুখী অনির্বাণ সূর্যাস্তে-
কিংবা জীর্ণ শীতের বিদায়ে,
আমি থাকবো-
কোজাগরী চাঁদ কিংবা প্রথম নিশিথের ধ্রুবতারা বেশে।
এক নবজাগরণের আগমনী কুসুম রবির প্রত্যাবর্তনে,
শুকতারার বিদায়বেলার শেষে!


মেঘের পর মেঘ জমেছে-
আকাশ কালো হয়ে আসছে....
ভেতরে নিরন্তর বহমান এক অতালন্ত নিম্নচাপ,
বিষণ্ণতা মাখা মহাকাল শাঁই শাঁই করে বলে -
খান্ডবদাহনের ঢের আগে এ হৃদয় এক কুরুক্ষেত্র-
শ্মশানচারিণী শকুনের ডানা মেলে-
জন্মাবধি অনবরত পোড়া নেত্র........
বিনিদ্র রাতে,সঙ্গম মৃত্যুর সাথে,
সুধা বিষে মাখা অমৃতদাহ;
আধাঁরে শ্মশান বধূর পায়ের নিচে,রক্ত জবায় মিশে....


অরিত্রি,
আমি প্রচন্ড চাপা অভিমানেই চলে যাব-
হঠাৎ নিরুদ্দেশ......
অনন্ত নক্ষত্রবীথিও রাত্রি পায়না,
তুমি কিংবা মৃত্যুতেই লীন;
এই মহাকালের বিষণ্ণতার শেষ!