আমাদের অতীত ছিলোনা;
না আছে বর্তমান।
হয়তো থাকবেনা কোনো ভবিষ্যৎ!
তবুও মনে হয় তুমি ছিলে,অনাদিকাল ধরে-
চিরায়ত শূন্য ঘরের একমাত্র বাসিন্দা হয়ে,
তুমি ছিলে,তুমি আছো-
এক অনির্বাণ শ্বাশত পুরাণ হয়ে।


আমার এ জীর্ণসংস্কারের কবিতা-
তুমি এসে হয়তো কোনোদিন শুনবে না,
শশব্যস্ত পুরীতে চোখ এড়াবে,
নিছক প্রাণহীন কিছু অসামঞ্জস্য শব্দবিন্যাস,
হয়তো জানবেনা আমার ভুলেভরা ব্যর্থ আহ্বান,
ভেসে যাবে পথের ধুলো বাতাসে......


তুমি আছো অসীম এক শূন্যতা থেকে-
ক্রমবর্ধমান ধেয়ে আসা একটি ছোট্ট জীবনবিন্দুর মতো।
অস্তিত্বের আকস্মিক এ বোধ আমাকে অভিভূত করে,বিস্মিত করে,
বিদ্ধ করে বুলেটের মতো।
ভালোবাসা জেগে থাকে প্রাণে-
হয়তো যাত্রারম্ভ সেই ধুসর বেবিলনে।
সন্তপর্ণে ঢেউয়ের শব্দের ভীড়ে,
হয়তো ভালবাসা খুব করে আশ্রয় দেয়,
পৃথিবীর কোন ক্ষুদ্র কুঁড়েঘরে!
রয়ে যায় বুক পকেটের ছোট্ট খামে।
তুলে রাখা প্রতিটা দীর্ঘশ্বাস
কোনো প্রিয় ঠিকানায়,হয়তো প্রিয় কোন  নামে।


এইযে তুমি নেই তবুও ভীষণ আছো;
এইযে আমার দম বন্ধ নিশ্বাসে,
অস্তিত্বের পুরোটা জুড়ে- কী দিব্যিই না বাঁচো!