প্রিয়তমা,
তুমি বিশালাক্ষী,অনির্বার আকর্ষী যোগমায়া,
তুমি গোধুলীর টকটকে লাল অর্ঘমা,
নদীর বুকে তুমি পাখি আর মেঘদলের ছায়া।
তোমার বিশালতায় আমার মুগ্ধতা অনিঃশেষ-
জীবনান্তের শেষ প্রহরে তা বিদ্যমান থাকুক।
থাকুক সে মুগ্ধতার রেষ!


যখন তুমি আমার কাছে আসো,
কিংবা যখন আমার সাথে কথা বলো;
আমি স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায়।
আমি সে মুহুর্ত বর্ণনা করার ভাষা হারিয়ে ফেলি।
আমার অস্তিত্ব তখন শুভ্রমেঘে ভাসে-
পুলকসঞ্চার যেন স্বর্গ থেকে আসে!


তোমার সদাহাস্যমুখ আমার জন্য-
বিধাতার অনিন্দ্য শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি,
আমার সুখ যেন বর্ষার যৌবনা নদী,
কিংবা শ্রাবনের এক পশলা বৃষ্টি।


যে ক্ষণকাল তোমার দেখা নাই,
সে সময়টুকু যেন ঘোর নরক আমাতে বিরাজ করে,
তোমাকে পাবার অনির্বার বাসনা-
বিরহ মধুর হয়ে ঝড়ে!


আমি তোমার রাজকুমার কিংবা প্রেমিক নই,
তার চেয়ে বরং আমি ভৃত্য ই হই!
যেমনে থাকে আজন্ম মিশে-
সাদা পাতায় কালো অক্ষরের বই।