চৈত্রের হলুদ বিকালে,
কিংবা মৃত নদীর মত শীতে-
রিক্ততার চাদরে মোড়া জীবনের পঙ্কিল অসাড়তা.....
সবুজ ঘাসের গন্ধ থেকে করুণ ডাঙ্গার নেক্রপলিস,
মলয়বায়ুতে ভেসে আসা পৃথিবীর অব্যবহৃত হেম।
তুলে রাখা ছিলো পরিচয়হীন রুপসীর জন্য-
নেশামাখা কাজলের কারুকার্যে প্রেম।
বিষণ্ণতার প্রাচীর ভেঙ্গে দিগন্ত-প্লাবিত রৌদ্রের আঘ্রাণে-
এ কি মোহ?
কি সুধার নীলকান্তমণি?
অনিশ্চিত জীবনের কৃষ্যমান মত্ততায়!


প্রেম মাখা কাজলের নেশালো চোখে,
অনন্তকাল আলো ফোটানোর জন্য বুক পেতেছিলাম!
অথচ,
এখন আমার দুচোখে নিকশ আঁধার.....
যেন আজন্ম অন্ধ ছিলাম আমি-
যেন কোন দিন কিচ্ছু দেখিনি আমি!
ভিতরের সাদা স্রোতের অলক্ষে মিশে থাকা কালো স্রোত,
স্বপ্ন আর বাস্তবের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ফোকড় ছিড়ে অবাধ্য নালিশ,
খোপায় গোজা ফুলে যেন খুঁড়েছিলাম
নিজের নেক্রপলিস!
হায় ঈশ্বর!
ভালবাসা কিনতে গিয়ে নিজের মৃত্যু কিনলাম!


ঘোর নীল বিষাদের হাওয়া মেখে,
মোহবন্ধনের অনন্ত স্রোতে পথ হারায়
এক অনির্বাণ দূর নক্ষত্রে লীনের আশায়!


সে পথ,
নক্ষত্র-
বুঝি তুমি?