গোধুলির পরে,
আকাশের তরে-
সন্ধ্যার অলংকার তারা মিটিমিটি জ্বলে;
তারা যেন তোমারই প্রকাশ-
তোমারি কথা বলে।
একটু হেসে আমায় বলে,যাবি?
ওই কালো-নীলে ঘেরা পাহাড়ের দেশে;
দিনের আলো মিলেছে যেথায় শেষে!


আমি বললাম;


দিনের আলো রংবাহারি,
ভীষণ উজ্জ্বল সে আলো।
তুঁমি স্বল্প আধাঁরে অল্প কিরণ;
তুমি ই অনিন্দ্য,তোমায় লাগে ভালো!


তুমি আমায় সঙ্গ দিলে,
গেলাম অনেক দুরে!
আবগাহন করলাম জ্যোৎস্না রাত্রি,
সৌন্দর্য সমস্ত দেখলাম ঘুরেঘুরে।


সন্ধ্যার বাতাসে তোমারি সকাশে,
সমস্ত কালিমা আমার ধুঁয়ে।
তোমারি নিমিত্ত সৌন্দর্য-সাধনা;
তোমাতেই সকল প্রার্থনা-বন্দনা!


একটু দূরে সন্ধ্যেতারা বলল আমায় হেসে-
আমার চেয়ে সুন্দর তবে এ ভুবনে কে আছে!


মৃদু হেসে বললাম আমি,


দিনের আলোর পরে;
গোধুলির প্রহরে-
নিয়ন আলোর নিচে,
আমার অনিন্দিতা রয়েছে পড়ে।


তাকে দেখলেই মনে হয়-
যেন বর্ষা ধোঁয়া সদ্যস্নাত ধরণী।
বিশালাক্ষীর শ্রেষ্ঠ বড়দান;
সমস্ত রূপে প্রকাশিত রমণী!


বলতে হবেনা বুঝে গেছি-
অভিমানের স্বরে, (সন্ধ্যা তারা)
মানুষ স্বার্থ-ভালাবাসায় অন্ধ জানি;
গাহিছে ভালবাসার জয়গান স্বার্থের ই তরে!


তবে মেনেই নিলাম,
আমি তোমাদের নীল কবি।
সন্ধ্যার আকাশে নিশ্চুপ সাক্ষী;
কেবলি তোমাদের বিরহের প্রতিচ্ছবি!


সৌন্দর্যপ্রেম অমর থাকুক।
অনির্বাণ কালে গতি-
দিনের আলোয় লীন আমি,
রাতের আকাশে ভালবাসার জ্যোতি!