তোমাকে রবীন্দ্রনাথ দেখলে হয়তো
তাঁর সংগীতের রাগিণী বিশেষ মালশ্রী বলতো;
তুমি হয়তো ভালবেসে নিভৃতে যতনে তাঁকে ঠাঁই দিতে।
জীবনানন্দ হয়তো তোমাকে বিশালাক্ষীর শ্রেষ্ঠ বড়দান মানতো,
তুমি হয়তো তাঁর শ্রাবস্তীর কারুকার্য,তাঁর বনলতা বলে আখ্যা পেতে!
নির্মলেন্দু গুণ হয়তো তোমাকে দেখে স্ট্রেটকাট বলে দিত ভালবাসি!
তুমি হয়তো তাঁর জন্য দরজা খুলে দেওয়ার অপেক্ষা করতে-
আনিসুল হক হয়তো বলতো
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুমি হয়তো তাঁর শূন্য বুকের ঝড়া বকুল হতে হতে!
তোমাকে দেখলেই হয়তো রুদ্র আকাশের নয় তোমার ঠিকানাই ই চিঠি লিখত।
তুমি হয়তো মর্মমূল ছিঁড়ে এসে ঠাঁই নিতে তাঁর মাংসের বুকে!
সুনীল তোমাকে হয়তো তার বরুণা ভেবেই চায়তো,
তুমি হয়তো অন্তত তাঁর কথা রাখতে!
তোমার বুক থেকে আতরের গন্ধ বের হত।
তোমাকে দেখলে নজরুল হয়তো বলতো মোর প্রিয়া হবে এসো হে রানী!
তিঁনি তোমার আচঁলের ফুল নিতো না,
বরং পরমাদরে নিতো তোমার অশ্রু।
জয় গোস্বামী হয়তো তোমাকে দেখলেই সেই বুনোঝোপ দেখতে পেত।
পাগলী ভেবেই তোমার সাথে ভয়াবহ রাত কাটানোর চাইতো!


লিওনার্দো হয়তো তাঁর চিত্রে তোমাকে তুলে ধরত।
রংতুলির আচড়ে বেঁচে থাকতে আজীবন!
তোমাকে দেখলেই হয়তো আইনস্টাইন,নিউটন কিংবা গ্যালিলিও-র বিজ্ঞানচেতনার পথ হতে ভ্রষ্ট হত!
তোমার জন্য হয়তো তাঁরা প্রেমিক হয়ে উঠতো।
আবিষ্কার হতো না মহামূল্যবান অনেক কিছু!
পিছিঁয়ে যেত পৃথিবী কয়েকশ বছর;
কিন্তু তোমাকে হৃদয়ে আবিষ্কার তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি হতো!
তা সকল আবিষ্কার কে হার মানায়।


হে অনিন্দ্য,অপরুপ তুমি সর্বোৎকৃষ্ট সৌন্দর্য আর শ্রেষ্ঠা অভাগাও!
কেননা তাঁরা কেউ এখন নেই;
তোমাকে ভুলেভালা ভরা,অসমবিন্যাস শব্দগুচ্ছে লিখে,গেয়ে,চেয়ে যাচ্ছে এ অখ্যাত জন!
তোমাকে আমার অখ্যাত সৃষ্টিতে প্রস্ফুটিত করার চেষ্টায় সদা শশব্যস্ত আমি-
তুমি কি অখ্যাতজনকে তোমা দ্বারা পুরুষ্কিত করবে?
তুমি কি আমায় তোমার হৃদয়ে পরম মমতায় ঠাঁই দিবে?
আমাকে তোমার একমাত্র পুরুষ বলে মেনে নিবে?
আমার আজন্ম স্বপঘোর,প্রার্থনা-
তুমি কি আমার হবে?
একান্ত ই আমার!