প্রভাতের স্নিগ্ধ,সজীব প্রকৃতির সাথে আমি যেতে চেয়েছিলাম,
সে আমাকে নেয়নি।
ভরদুপুরে ঝিলের বিলে রোদ্র-ছায়ার খেলা দেখতে চেয়েছিলাম,
সে দৃশ্য কপালে জোটেনি!
হঠাৎ ই শ্রাবণধারা আমায় বৈরী রূপ দেখিয়েছে।
শ্রান্ত দুপুরে ঘুঘুর ডাক শুনতে চেয়েছিলাম,
সে আমায় শোনায় নি।
পড়ন্ত বিকালে তার সাথে গোধূলিতে যেতে চেয়েছিলাম;
সেও আসেনি!
আমি তাকে গীষ্মের দাবাদাহে
হীমশীতল পরশ দিতে চেয়েছিলাম;
সে গ্রহণ করে নি।
আমি তাকে শরৎ-এর শুভ্র মেঘে
আর সাদা কাশের আলতো ছোঁয়ায় রাখতে চেয়েছিলাম,
সে আসেনি।
আমি তাকে হেমন্তের নবান্নের উৎসব আর পিঠাপুলির আমাজে দেখতে চেয়েছিলাম,
সে আসেনি।
তীব্র শীতে আমি তার উষ্ণতার কারণ হতে চেয়েছিলাম,
সে আমাকে গ্রহণ করেনি।
বসন্তবনে তাকে নব পুষ্পে সাজাতে চেয়েছিলাম,
তবুও সে আসেনি।
তার বৈশাখীর রঙে আমি রঙ্গিন হতে চেয়েছিলাম,
সে আমায় রাঙায়নি,বিবর্ণ করে রেখেছে।
আমি তাকে উৎসবমুখর বাংলায় চেয়েছিলাম;
সে আসেনি।
আমার উৎসব করা হয়ে উঠেনি!
আমি আমার স্বপ্ন কে চারদেয়ালে গুমরে মরতে দেখতে চায়নি;
অথচ কি নিদারুণ ভাবেই না তা চারদেয়ালে ধুঁকেধুঁকে মরছে!
আমি অঝোর শ্রাবণ চায়নি;
কিন্তু কি নির্মমভাবে ই না আমি শ্রাবণধারা হয়ে গেছি!
আমি আধাঁর চায়নি,
কিন্তু আধাঁরের সাথে প্রণয় হয়েছে আমার,
এখন আধাঁরেই আমার বসবাস!
আমি তোমাকে আজন্ম আষ্টেপৃষ্ঠে জড়াতে চেয়েছিলাম;
খুব করে বামপাশে জড়িয়ে রাখতে চেয়েছিলাম,
তোমার সাথে অনন্তকাল কাঁটাতে চেয়েছিলাম,
তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ই তোমাকে হৃদয়ে রেখেছি!
তবুও তুমি আসোনি,
অথচ কি অদ্ভুতভাবে মৃতের মত আমার ভেতর জুড়ে আছ!
আর এভাবেই আমৃত্যু এই প্রেমিকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে!