তোমাকে যে সকালের তোলা স্নিগ্ধ শিউলির মালা দিয়েছিলাম।
মনে আছে?
তুমি তা পরমানন্দে পড়েছিলে তোমার গলে,
আজ তা লক্ষ্য করলাম পড়ে আছে,দুর্গন্ধে ভরা ডাস্টবিনের ময়লা তলে!
অনেকদিন হলো শিউলিতলায় যাওয়া হয়না,
এই শারদপ্রাতে শিউলির মিষ্টি গন্ধটাও বাতাসে ভাসেনা,
নির্ঘুম রাত কাঁটানোর পর অনিচ্ছা স্বত্তেও গাছটিকে দেখতে এলাম;
ভীত,সন্ত্রস্ত চোখে তাকালাম-
মনে হলো গাছটি আমার ই প্রতিবিম্ব,
নিজেকে ই যেন আয়নায় দেখছি!
গাছটির মধ্যে নিজের বর্তমান কে আবিষ্কার করলাম।
অযত্নে থাকা গাছটি আজ মৃতপ্রায়!
এখন বসন্তের শেষ নয়,তবুও গাছটি প্রায় পত্রশুন্য,নির্জীব!
তলাটাও অপরিষ্কার,জঞ্জালে ভরে গেছে।
আমার শিউলিতলা আজ্জ বড্ড নিষ্প্রভ,শুন্য মনে হয়!
অথচ তুমি থাকাকালীন গাছটি পত্র-পুষ্পে ভরা ছিল;
মৃদুবাতাসে চারিদিকে কী সুন্দর সুবাস ই না ভাসতো!
নিজেকে যেন ওই গাছটার প্রতিচ্ছবি ই মনে হয়!
আচ্ছা,তুমি কি আমার আর শিউলি গাছটার প্রাণস্পন্দন ছিলে?
তুমি চলে যাওয়ার পর আমরা দুজনেই কী ভীষণ ভাবেই না মৃত্যুমুখে অগ্রসর হচ্ছি!