তার অন্তর্ধানের চল্লিশটি দিন পেরিয়ে গেছে!
কিভাবে যে এতগুলি দিন চলে গেল বুঝতেই পারিনি আমি।
তার মরা মুখটিও দেখিনি আমি;
না, আমার অনুপস্থিতির জন্য নয়;
তার জীবন্ত ছবিটি আমি মারতে চাইনি।
চাইনি তার হাসিটি মৃত্যু মেঘ ছায়ায় ঢেকে যাক।
আমি বিহ্বল হয়েছিলাম তার মৃত্যু সংবাদে,
আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম, হৃদয় হয়েছিল শুকনো কাঠের মত জলশূন্য।
আমার শরীর থরথর করে কেঁপেছিল মুহুর্ত কাল।
বিশ্বাস করতে পারিনি নিজের কর্ণকে অথবা বার্তা বাহকের জিহ্বাকে।
সেই প্রাণচঞ্চল উচ্ছ্বল দীপ্ত হাসির ঝলক আজ জীবন্মৃত আমার প্রাণে;
আর তাদের উৎস প্রাণহীন, চিরতরে নিদ্রাগত।
সে আমার বিষন্নতায় স্নেহের পরশ ছিল,
আমার উৎকন্ঠায় তার শীতল স্পর্শ ছিল।
তার থেকে পাওয়া প্রতিটি সুখানুভূতির হৃদয়ে হয়েছে রক্তক্ষরণ,
ঘটেছে মস্তিষ্ক বিকার;
আর আমার নয়ন শুকনো নদীর মত।
আজ প্রাতে তার সমাধি নিকট ক্ষণকাল হয়েছিলাম দণ্ডায়মান;
দু-ফোঁটা অশ্রুজল ছিটকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল,
অথচ তা সম্ভব হলো না পাছে কেউ দেখে নেয়।
আমার গোপন প্রেম গোপন রবে আপন ব্যথায় ভুলে।
নিয়তি আমার বিশুদ্ধ প্রেমের সমাধি রচনা করেছে,
আমার চঞ্চলতার পায়ে দিয়েছে শিকল,
টেনে ধরেছে উৎসাহের লাগাম।
আমি অবোধ। শাস্ত্রজ্ঞান নেই আমার;
শুনেছি পরপারে সবাই পুনঃ মিলিত হবো একদিন;
সেদিন সে কি আমায় চিনবে? না কি আমি তাকে?
জবাব জানা নেই।
তবুও আশার ভেলা ভাসিয়ে দিলাম
জ্বালিয়ে দিলাম অনন্ত অক্ষয় অমলিন বিশ্বাসের প্রদীপ।


পরপারে ভালো থেকো বন্ধু
তোমার খুশি গুলো বেঁচে থাকুক আমার স্মৃতিতে অম্লান।