বিচিত্ররূপময় আমার জননী;
অতি মধুমাখা তাঁর মুখের বাণী।
আমি নন্দিত মাতার বন্দনা গাই,
অনুভবে তাঁরই স্নেহ পরশ পাই।
গর্বিত আমি- রই চিরঋণী তায়,
নমি রত্নগর্ভার চরনে সদায়।
বহমান তেরশত নদী ধারায়
সবুজ শ্যামলিমা অঞ্চল ছায়ায়
যে মাধুরী মোর জাগ্রত চেতনায়
মেশে; যে সুধা বহে শিরায় শিরায়,
তার অনন্ত উৎস বঙ্গ জননী।
লুণ্ঠিতা দলিতা গর্ভ ধারিনী
বীরত্ব প্রসবা ভুবন মোহিনী
কত লহুর স্নানে অসুর মর্দিনী।
হেথা কোটি মুজিবের অটুট ভক্তি
লক্ষ শহীদের দানে মাতার মুক্তি।
এ মাটির মায়ায় যেন বারে বারে
জনম জনমে আসি ফিরে ফিরে
এ মোর প্রার্থনা বিশ্বপতি পদে
অন্তবধি রই যেন এ প্রেম নদে।



বি.দ্র. কবিতাটি পূর্বে  "অন্য প্রকাশ" এর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।