মিষ্টি মেয়ের গল্প বলি নামটি তার অর্পিতা
সদা হাস্য মুখ প্রাণোচ্ছল মিষ্টিভাষী বাগ্মিতা।
যথার্থ জেনো নামটি তার শোন তারই কাব্য গাঁথা
তার জনম লগন মনে এলে আজও প্রাণে জাগে ব্যথা।
এখন ব্যথার চেয়ে খুশি বেশি নয়ন করে ছলোছল
আনন্দ-অশ্রু সকল চোখে, মুখে হাসি বুকে বল।
সেদিন তার জন্মদিনে সবার মুখেই একই কথা
থাকবে না সে রবে না, নারাজ বুঝি বিধাতা।
ডাক্তার সাহেব ডেকে বলে বেবি'র অবস্থা খুব ভালো না
'ইমম্যাচিউরড বেবি' কখন কি হয় জানি না।
কে বোঝে ভাই প্রভুর লীলা কে জানে তাঁর ক্ষমতা
অর্পন করলে সোনার কন্যা অসীম তাঁর মমতা।
সি সি ইউ- তে দশটি দিনের তুমুল লড়াই-যুদ্ধ শেষে।
শঙ্কাহারিণী সমর নন্দিনী  অনুপমা উঠল হেসে।
আজও সেই হাসি তার মায়া মুখে লেগেই থাকে সারাদিন
অল্পেই সে খুশি থাকে বদনটি তার হয় না মলিন।
কেবল একটি নাম রেখেছি তার নাম তো নয় শুধু তা
আবির্ভাবে জীবন পরীক্ষাতে নাম ধরেছে পরীক্ষীতা।
বদনে তার উজ্জ্বল জ্যোতি তাই নামটি তার জ্যোতির্ময়ী
হরষ জাগে তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি কাজে তাইতে সে আনন্দময়ী।
প্রিয় তার চলন-চালন আরও প্রিয় তার বাক্যালাপ
প্রিয়ভাষিণী নাম ধরে সে, সরল চাহনি নিষ্পাপ।
জীবনের প্রথম বেলায় রণবিজয়ী জয়ীতা সে
অপরাজিতা নাম রাখি তার পরম স্নেহে  ভালবেসে।


আজ তোমারই জন্মদিনে কাব্যটি তোমায় দিলাম উপহার
হও দীর্ঘজীবী, বিশ্বজয়ী, জোগাও সকল প্রাণে আনন্দ আহার।



# আজ আমার ভ্রাতুষ্পুত্রী অর্পিতার ৭ম জন্ম বার্ষিকি।
সকলের কাছে তার জন্য দোয়া ও আশির্বাদ প্রার্থনা করছি।