স্বাগত তোমারে ওহে নবাগত জননী
স্বাগত তোমারে নতুন প্রাণের আধার;
স্বাগত তোমারে শুভ আগামীর স্রষ্টা
স্বাগত তোমারে আজিকে হরষবিহার।


তুমি যে আনিবে প্রেমের বিপুল বন্যা
নব উদ্যমে উচ্ছ্বাস ভরে নব উপহারে;
তুমি যে আনিবে চন্দ্রালোকের কণিকা
বিশ্ব ভরিবে নিষ্পাপ মধু হাসির বাহারে।


তুমি যে বাঁধিবে নাড়ির বাঁধনে পরাণ
তুমি যে পরাবে প্রেমে বেঁধে গলে মালিকা
তুমি যে গাঁথিবে বিজয়ের গাঁথা, জননী-
তুমি যে জ্বালাবে জগতে প্রদীপের শিখা।
তুমি যে ফোটাবে একটি মুকুল রঙিন
তুমি যে দোলাবে রাঙা রবি গলে ঊষার,
তোমার গর্ভে ঋক্ষ রাজের বসত-
নভো তাই পলে প্রণত চরণে তোমার।
প্রদৃপ্ত হও বিজয়লক্ষ্মী হে মাতা-
উল্লাসে ভরো জগতের শেষ প্রান্ত
তব তরে আজ অবনী নাচিবে মাতিবে
হরষিত রবে সহজে হবে না ক্ষান্ত।
আকুলিবিকুলি করিবে সকলে জননী
ব্যাকুল প্রেমের আকুল আবেগ ছড়িয়ে
কেউ বুকে নেবে চুম্বনে বাঁধা সোহাগে
কারো মায়া হাসি প্রাণ দেবে সুখে ভরিয়ে।
ধন্যা হে তুমি প্রাণ স্পন্দন বিহারী-
তোমারি তরেতে সাধে আহ্লাদে ভরিছে
তোমারি তরেতে চাঁদ জেগে রয় আকাশে
পাখি গায় শাখে সুরে সুরে ধরা ভরিছে।
কত জনমের কত সাধনায় না জানি
পেয়েছ এমনি ভাগ্যবতীর বিধান
ধরণীর বুকে নব জীবনের আভায়
ঘুচিবে আঁধার করিবে আলোক প্রদান।