কারে দিলে তুমি ফসলের জমি চষিবার অধিকার?
জানে কী সেজন কত সাধনায় দয়া মেলে বিধাতার?
জানে কী সেজন নিরাকার কেন আকারের রূপ লভে?
কোন সে জমিনে কখন ফুটিবে কী করে বুঝিবে তবে?
আমি যে অবোধ ধীগুণ বিহীন বুঝি না কালের খেলা;
কোন সে অরূপ রূপকার হলো ভেবে ভেবে যায় বেলা!
সবুজাভ কচি পাতার স্বরূপ  শুদ্ধ চিত্ত প্রাণ-
ভূমিষ্ঠ হয়ে কেন ওঠে গেয়ে বিদায় বেলার গান?
সাঁঝের বেলায় কেন ঝরে যায় প্রভাতকালের ফুল-
জন্মে যে ফুল ভুবন মাতায় গন্ধে করে আকুল!
কেন শিকারীর তীর বিঁধে মরে উড়ুকু যৌবনা পাখি?
কেন এ জগতে হা-হুতাশ জাগে জলে ভরে দুই আঁখি?
কেন এ ভুবন আঁধারে ঢাকে অকালে ঝরে তাজা প্রাণ;
কেন অনাথিনী দ্বারে দ্বারে ঘুরে গাহে বেদনার গান?
আরো কত আছে অজানা জবাব অন্তর জুড়ে মোর
উত্তর দিতে নেমে আসো তুমি ঘুচাও আঁধার ঘোর।
যাদের হাতে হায় তুলে দিয়েছো জগতের দায়ভার
রক্ষক হয়ে ভক্ষক হলো; কে করে বিচার তার!