খোলামেলা আমার বাড়ির প্রাঙ্গণ।
পুবের দিগন্তে রাঙ্গা আভা- ঊষা লগন
আমি বসে আছি জলচৌকিতে
কবিতার খাতা হাতে।
ঝিরিঝিরি প্রভাত বায়ু বয়
আমার আঁখি বন্ধ, দেহ শিহরায়।
চারদিক থেকে আসা প্রকৃতির নানান
শব্দ মন দিয়ে করি শ্রবন।
অকস্মাৎ জনৈক ভদ্রলোক সুধালেন,
কী লেখেন এতো?
আমি- আজ্ঞে পদ্য।
- পদ্ম! মানে পদ্ম ফুল?
- জী না। ভুল।
-ভুল! ফুল নয়? তবে?
- জনাব, ওটা কাব্য হবে।
- কাব্য! মানে হলো - কবিতা। আপনি কবি?
- আজ বুঝি উঠবে না আর রবি!
- কেন? আকাশ তো পরিষ্কার! ঐ তো সূর্য ওঠে।
- বটে!!
- কিন্তু আপনি কেন ও কথা বললেন– বুঝলাম না।
- একটা পদ্য লেখার আশা ছিল তা বুঝি আর হলো না।
- কি হবে ওসব লিখে?
- অগত্যা! মূল্যবান প্রশ্নের মুখে!
- কিছু কি বললেন?
- না! কি জানি একটা সুধালেন?
- কবিতা-টবিতা কি এখন আর কেউ পড়ে?
- এখনো কিছু মানুষ জ্ঞান অন্বেষন  করে।
- হাসালেন মশায়। জ্ঞান কি থাকে শুধু কবিতায়?
- না। কবিতা জ্ঞান লাভের পথও দেখায়।
- ধূর মশায়! রাখেন তো আপনার জ্ঞান-গরিমা।
  আপনি দেখি কবিতা ছাড়া কিছুই বোঝেন না।
  বুঝলেন কিনা; জীবনটা কবিতা নয়।
- সত্যি-ই তাই। তবে কবিতা জীবনের বাইরে নয়।
  তাই নয় কি??
- হুম..! তা বৈকি!
তারপর জনৈক ভদ্রলোক চললেন নিজের পথে।
আমিও লাগাম টানি ভাবনার রথে!