ঢাল গেছে ভেঙ্গেচুরে ভোতা তলোয়ার
বুক করে দুরু-দুরু, আমি নিধী সর্দার।
বাহু দু'টি লিকলিকে কোঠরেতে চোখ
দেখি যদি হাতা-হাতি, বারে গিলি ঢোক।
নিজে নিজে বীরপুরুষ বন্ধ করে দ্বার
বুক কাঁপে দুরু-দুরু, তবু আমি নিধী সর্দার।


পড়া-শুনা যা করেছি বাল্যশিক্ষা বাদে
সার্টিফিকেট পেলেই হল, চলে যাব চাঁদে।
পাড়ার তরুণ যুবা হয়ে আছে বশ
বড় বংশে জন্ম মোর আছে তার যশ।
কি করে যে পাশ হল বুঝলো না'তো স্যার
বুক কাঁপে দুরু-দুরু, তবু আমি নিধী সর্দার।


পেন্টুলেতে ঢুকে পরি জামার বোতাম খোলা
মা-বাবা গর্ব করে, আমার না'কি আশি টাকা তোলা।
জুতা একখান পড়ে থাকি অহোরাত্রি ধরে
ধুলাবালি গায়ে লাগুক পা'য়ে যেন'না পড়ে।
সারাদিন খুঁজতে থাকি যত্তসব পঁচা দরবার
বুক কাঁপে দুরু-দুরু, তবু আমি নিধী সর্দার।


বাজারের চিপাগলি, সরুগলি, অন্ধগলি যত
বাকি খেয়ে ব্যবসাকে করে দেই ক্ষত।
যদি কিছু বলে মোরে রেগে হই ঠাঁস
গায়ে যদি না পাই বল, খুঁজে ফিরি বাঁশ।
তাতে যদি কিছু না হয় ফুটা খুঁজি তার
বুক কাঁপে দুরু-দুরু, তবু আমি নিধী সর্দার।


রাস্তায় বের হলে মনে হয় রাস্তাটা মোর
নিজেকেই সাধু ভাবি, অন্যকে ভাবি চোর।
ভাব নিয়ে কথা বলি গুজনের সাথে
পিত্রান্ন ধ্বংশ করি কার কি আসে তাতে।
ভরা গ্রীষ্মে পকেট থেকে হয়না'তো হাত বার
বুক কাঁপে দুরু-দুরু, তবু আমি নিধী সর্দার।


সুন্দরীদের পিছে পিছে হাঁটি কিছু দূর
কথা যদি হারিয়ে যায় গানে ধরি সুর।
বিপদের আঁচ পেলে এমন'ই লই ভাব
তখন মোরে মনে হবে তরুণীটির বাপ।
হাই হিল গালে পড়ে লাগে ডাক্তার
বুক কাঁপে দুরু-দুরু, তবু আমি নিধী সর্দার।