তোমায় যেদিন প্রথম দেখি
আমি চমকে উঠি নিজের ভেতর।
সেদিন ছিল আমার নতুন চাকরির প্রথম দিন,
তাই ইচ্ছে করলেই আমি তোমার পানে তাকাতে পারিনা।
তা ছাড়া তুমি আমার অফিসের বস।
আমি মনের কাছে প্রশ্ন করি----
এ কেমন খেয়াল তোমার?
সে তোমার সিনিয়র এবং অফিসের উর্ধ্বতন।
মনটা আমার বিদ্রোহী হয়ে ওঠে!
পারত্রিক প্রেম আমায় লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে।
সত্যি বলছি নাজনীন, তুমি যে'ই হও না কেন
আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।
তোমাতে আমার চোখ প্রতিফলিত হয়,
আমি স্থির থাকতে পারিনা, আবার না দেখলে ও অস্থির।
সেদিন অফিস শেষে আমি দাড়িয়েছিলাম
সিগারেটের দোকানের সামনে।
তোমায় আড়চোখে একনজর দেখে লোকাল বাসে
ঝুলতে ঝুলতে বাসায় যাব বলে।
কিন্তু সেদিন আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি!
তোমাকে হলুদ পেশাকে কী'যে সুন্দর লাগে!
আমার অবাধ‌্য মন হলদে পরি দেখে পাগল প্রায়।
অফিসের কালো কোট-টাই'তে তোমায় ভেজা কাকের মত মনে হয়। সেদিন আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেট ধরিয়ে
তিন ঘন্টা হেঁটেছি।
নাজনীন অফিসে কোনো ভুল হলে তুমি যখন আমায়
তীব্র ভাষায় কটাক্ষ কর,
তখন আমি ভালবাসার আবেশ পাই।
অপারগতা নিয়ে যখন তুমি ধমক দেও--
তখন আমি প্রেমের গন্ধ পাই।
নাজনীন জানো-- আমি ছন্দছাড়া কবিতা লিখতাম না।
তোমার কালো চোখের গভীরে সব হারিয়ে গেল।
আমার হতাশাগ্রস্থ জীবনে তোমার ভাবনা আমায়
প্রশান্তি এনে দেয়।
তোমার মুখচ্ছবি আমায় সাহস যোগায় পথ চলতে।
আমি জানি তুমি কুমারি নও, তুমি ছোট্র সোনার জননী।
বিশ্বাস করো নাজনী-----
আমি তোমায় শয্যাসঙ্গিনী করতে চাইনা,
আমি তোমার ভেজা শরিরের গন্ধ পেতে চাইনা,
তোমায় বাহুডোরে বেঁধে ঠোঁটে চুমু খেতেও  চাইনা।
দু'হাতে তোমার বিবস দেহটা তুলে---
সূর্যস্নান করতেও চাই না।
কিন্তু নাজনীন----
আমি তোমায় ভালবাসি...!
                আমি তোমায় ভালবাসি...!!
                              আমি তোমায় ভালবাসি...!!!