কষ্ট যদি হৃদয়ে গভীরভাবে জমাট না বাঁধে
তাহলে না'কি কবিতা লেখা যায়না।
কিন্তু কষ্ট পাবো কোথায়?
কষ্টের সন্ধানে বহু জায়গায় ধর্ণা দিয়েছি,
কেউ তার সন্ধান দিতে পারলো না।
প্রথমে আমার জন্মলগ্নের বন্ধু দরিদ্রের
সরণাপন্ন হলাম।
তাকে আমার মনের কথা খুলে বলতেই
চোখ দু'টো ছানাবড়া হয়ে গেল!
সে আমাকে বলল---
"কষ্টকে পেতে বহু কষ্ট করতে হবে।"
কিন্তু উপায়টা তারও অজানা।
এবার আমার প্রতিবেশী অসুস্থ্যের নিকট
কষ্টের সন্ধান জানতে চাইলাম।
এ ব্যাটা আমার কথা শুনেই আতকে উঠলো!
সে আমায় জানাল---
"এই ইট-পাথরের যুগে কষ্টের সন্ধান পাওয়া
সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার,
কষ্টেরা এখন আর বস্তিতে থাকেনা;
তাদের ফ্লাটে পাহাড়াও বসিয়েছে।"
আমি বিভ্রান্ত হয়ে ছুটে যাই
শৈশব খেলার সাথী ক্ষুধাদেবীর কাছে।
দেবী আমাকে তিরস্কার করে জানালো---
"কষ্টেরা কোথায় থাকে আমি জানি,
কিন্তু সব অবস্হা মেনে নেওয়া মূঢ়'কে বলবো না,
তুমি আমায় আর বিরক্ত করো'না।"
কি আর করা-----
অগত্যা ফিরে আসি খাতা কলমের কাছে।
কিন্তু একি; কলমের সব খুন শুকিয়ে গেছে!
সাদা খাতাটি অভিমানে লালচে - বিবর্ণ,
আর আমার কবিসত্তা পাড়ি জমিয়েছে
ঐ দিগন্তপাড়ের কর্পূরের দেশে।