কচুরীপানা ভেসে যাচ্ছে নতুন ঠিকানায়
হিজল গাছের ডালে বসে ঝুঁট শালিকে চায়।
হতাম যদি ওদের মত পেতাম জলের ঢেউ
প্রাণ ডুবিয়ে প্রেম করতাম দেখত'নাতো কেউ।
চলতে চলতে পড়ন কথা তারে শুনাইতাম
চোখের উপর চোখ রেখে স্বপ্ন বুনাইতাম।
চাঁদনী রাতে দু'জনেতে গাইতাম কত গান
ঠোঁটের ছোয়ায় সতেজ হত নির্জীবিত প্রাণ।
ঝড়ের দিনে স্রোতের মাঝে গলে রেখে হাত
যেথায় যাবে যাব দু'জন, ছাড়ব না'তো সাথ।
ভাসতে ভাসতে নোঙর দিতাম ঐ আরঙের দেশে
কল্পনার ঐ লাল শাড়িতে, থাকতে বধূ বেশে।
আখের গুড়ের লাল জিলাপি আরও মশলা পান
তুমি যদি চাও গো সখি, এনে দিব চাঁন।
অপরাহ্ন পড়ল যখন ব্যাধ চলে আসে
ঝুঁট শালিক তখনো যে কল্পলোকে ভাসে।
ধনুর উপর তীর রেখে মারলো জোরে টান
কোমল বক্ষ ভেদ করে কলজে হল খান।
ঝুঁট শালিক ভাসছে এখন স্রোতস্বিনী জলে
স্বপ্ন গুলো লেগে আছে হিজল গাছের ডালে।