প্রিয় ঊষা,
জলতরঙ্গে লাগছে আগুন তোমার আগমনে। তুমি
আসবে বলে রক্তরাগে প্রকৃতি হয় লাল। সবুজ ভূমি
ছেড়ে শিশিরের অবগাহন, চোখ তুলে জেগে আছে যে জন
স্বপ্নে জাগরণে। রাত্রি হাতছানি দিয়ে কাড়ে এ মন।
তুমি বাঁচার মানে খোঁজো বন্ধুত্বের মাঝে। জীবন পাও
একটু হাসির সুধারসে। দাম্পত্যের রাগ-অনুরাগ দাও
মুছিয়ে ভালবাসার প্রথম কিরণে। আত্নজার শান্ত ছায়া
এক সময় রূপ নেয় অজান্তে মন পাখির মায়া।
ঊষা, সেই যে বাংলাভাষার বুকে আঁচড় কেটে তুমি
কবিতা লিখতে, কবি ও কবিতার হৃদয় চুমি।
আমি উন্মাদ হয়ে তোমার সাথে ফিরতে চেতাম--
তুমি আমার বায়না শুনে হেসে খুন। আমি পেতাম
যোগ বিয়োগের সমাধান, আর স্মৃতির চাদরে সুখস্মৃতি।
আমি জীবনের নামতা, প্রেমের নামতা আর প্রেম-প্রিতি
পদ্যে বাঁধার চেষ্টা করতাম। এ মন রক্তিম উত্তাল হলে
পাঞ্চাল নন্দিনীর নামহীন সপ্তক বাজাতাম, তুমি ভুলে
আমায় সমর্পণ করতে তোমার স্বপ্নের রামধনু-হোলির ভাষা।
বন্ধু, সমাজের জাগরণ, অরূপরতন  নয় তো আমার আশা।
আমি শুধু তোমার আকাশে চাঁদ তারা মেঘ হয়ে---
ভ্রমণ করতে চাই ছোট্ট পাখির মত। চলছে বয়ে
আমার অবাধ্য মনের প্রেম প্রত্যাশা রাতজাগা পাখির মত
তারার চোখে ঘুম আনতে যায়। সমাজে দূর্গা আছে যত
তারা আহবান করে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু আমার এ মন
পড়ে আছে তোমার বর্ণচ্ছটায়। আমি জানি তোমার গুপ্তধন
জমা আছে বড় মহাজনের কাছে। কিন্তু জেনে রেখ আমি--
ভালবাসা কে যেতে দেব না অস্তাচলে। ক্ষমিও হে জগৎস্বামী।
ইতি অপরাহ্ন