একদা এক ছোট্ট পাখী রঙের মেলায় গিয়ে
ফিরবে বাড়ি রঙ বে-রঙের হরেক খেলা নিয়ে।
চারি দিকে বাদ্য-বাজনা আলতা-ফিতা-চুড়ি
দু'টাকাতেই মিলবে বুঝি অনেক ভুরি ভুরি।
দক্ষিণ সারে মাটির হাড়ি, রাজপুত্তুরের ঘোড়া
পুকুর পাড়ে বাঁশের বাঁশি, খেলনা জোড়া জোড়া।
বটতলাতে নানান রঙের মিষ্টি সমাহার
নতুন জামাই রঙ্গ করে, পকেট তো ছাড়খার।
বেলুন গুলো নাড়া দিল ছোট্ট সোনার মন
তালপাতার ঐ রঙীন পাখা ঘুরছে যে ভনভন।
চারিদিকে বাদ্য-বাজনা বাজছে কত বাঁশি
ছোট্ট পাখির লাগলো ভালো মিষ্টি একটি হাসি।
এ হাসি তো সে হাসি নয়, একটুতেই সব ম্লান
ছোট্ট পাখির ছোট্ট হৃদয় হলো যে আনচান।


ওদোকানী ভাই বলনা'গো তোমার হাসির কত দাম?
ভীষণ সুন্দর ছোট্ট হাসি, কি রেখেছ নাম।
এতো সুন্দর সরেস হাসি কোথায় তুমি পাও
দূর দেশের'ই নাম না জানা, দূরের কোনো গাঁও?
দু'আনা মোর কাছে আছে দাওনা একটু হাসি
এক ফালিেত'ই হয়ে যাবে চাইনা রাশিরাশি।
ছোট্ট পাখির ছোট্ট পকেট, ছোট্ট হাসি নিয়ে
ফিরছে পাখি আনন্দেতে খেয়া নৌকো দিয়ে।
হঠাৎ স্রোতে পড়ে গেল পাখির ছোট্ট হাসি
মিষ্টি হাসি ডুবছে জলে পাখির নয়ণ ভাসি।


অনেক বছর পার হয়ে যায়, জীবন নদীর ঢেউ
ছোট্ট পাখি ছোট্টটি নেই বুঝলনাতো কেউ।
জীবন যুদ্ধে হাসিও আজ অনেক বহুদূর
হাসির মাঝে বয়ে গেছে নানান তারের সুর।
হাসি-পাখির আবার দেখা ঘূর্ণীপাকের ফলে
হাসির আবাস ঢাকার শহর, নেইতো সে আর জলে।
সেই'যে মিষ্টি ছোট্ট হাসি গেল যে কোন দূরে
পাখির বুকে বেদন বাঁশি বইছে সপ্ত সুরে।
হাসির পায়ে শেকল পড়া টানছে অন্য কেউ
পাখির বুকে বইছে অাবার কষ্ট নদীর ঢেউ।