দুদিন থেকে অরিন্দম'এর শরীর ভালো নেই।
উচ্চ রক্তচআপের একটা ব্যাপার আছে
মাঝে মাঝে এ রোগটা ওকে পেয়ে বসে।
যদিও একাই থাকার চেস্টা করে মানে একাই থাকে!
অরিন্দম একা একা থাকলেও ভুলতে পারেনি সুনন্দিতা'র কথা।
গতরাতে একটুও ঘুমাতে পারেনি অরিন্দম!
একা কতক্ষণ থাকা যায়?
থাকবার কথাও নয়
নিঃসঙ্গতা মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
অরিন্দম'এর একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে
কোন কাজ ফেলে রাখতে চায়না
যতই কষ্ট হোক না কেন
যতই শরীর অসুস্থ থাকুক না কেন
কাজগুলো তার শেয করা চাই চাই-ই।
যেহেতু অরিন্দম রাতে ঘুমাতে পারেনি
শেষরাতে বিছানা ছেড়ে উঠে পরে
বসে পরে তার প্রিয় চেয়ারটায়
যেখানে সে চর্চা করে সাহিত্য সাংস্কৃতি।
অরিন্দম কানে দুএকটা পাখির ডাক শুনতে পায়
মনে সে ভাবে পাখিগুলো যদি না থাকতো?
যারা নিঃসঙ্গ জীবন-যাপন করে তাদের কে এতো ভোরে ডাকতো?
পাখিদের ধন্যবাদ দেয় অরিন্দম, ধন্যবাদ সমস্ত পাখি।
ভোরের আলো না ফুটতেই অরিন্দম রাস্তায় বেড়িয়ে পরে
রোজকার মত তখনো সূর্য পূর্ব আকাসে উঠেনি
চারদিক তাঁকিয়ে দেখে পথটা একেবারেই ফাঁকা....
কোন মানুষজন নেই!
গতরাতে কি সবারই ঘুম হয়নি?
নাকি সবাই বেশি করে ঘুমিয়েছে!
এখন সবচেয়ে বেশি মনে পরে অরিন্দম'এর সুনন্দিতা'কে
সুনন্দিতা যদি পাশে থাকতো অনেক মজা হতো
দুজন অনেকটা পথ এক সাথে হাটতাম!!