আনন্দিত আমি এই দুঃসময়েও
আমার কোন চিন্তাটিনা নাই!
আমার পকেটে অনেক টাকা
দামি গাড়ি,
সুন্দরী বউ,
সন্তান দুটি
একটি দেশের বাইরে
ভাবছি ছোটটাকেও পাঠিয়ে দেব অন্যকোন দেশে!
এই দেশে কি মানুষ থাকে?
যানজট
মানজট
যদিও টাকা বানাবার মস্ত বড় জায়গা।
খালি কোনরকম হাতটাকে এদিকওদিক করলেই হলো; আর চোখ বন্ধ করে রাখলেই হলো;
মরুক সব
আমার কি তাতে!
আমার কিছুই হবেনা
কামিয়ে নিয়েছি
যা নেবার।
দান-ত্রাণ দিচ্ছি যদিও লোকদেখানো; টিভিতে আমাকে দেখায়
তার জন্য বউটার গর্বের শেষ নেই!
সেদিন পাশের বাড়ির ভাবীসাব ফোন করে অনেক প্রশংসা করলেন,
আমি নাকি আরো সুন্দর হয়েছি এই মহা দুর্যোগেও!
লকডাউন সে আবার কি মশাই?
খাচ্ছি দাচ্ছি আরাম করে রেখেছি শরীরটা, আমার আবার কিসের চিন্তা টাকাতো আছেই সাথে ছেলেটা বিদেশে।
আমার কিন্তু বুদ্ধি আছে কি বলেন আপনারা?
না হলে এই দুঃসময়কে
সুসময়
বানিয়ে ফেললাম কি করে;
বুঝতে পারলেন?
এই ধরুন চাউলের কথায় আসি-
যে বস্তা চাউল ছিল বারশো টাকা করোনা'র লকদাউনে বানিয়ে দিলাম চব্বিশশো টাকা; আর
সয়াবিন তেল একলাফে দিলাম বাড়িয়ে কেজি প্রতি একুশ টাকা;
বুঝলেন কিছু?
ডালের কথা আর কি বলি ভাই আপনাদের বস্তা প্রতি লাভ হল প্রায় দুই হাজার টাকা!
ব্যবসা বলে কথা;
বাকিটা আর নাইই শুনলেন।
আমার কি এই দেশে থাকা চলে?
বড়ছেলেটাকে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি বিদেশে
কি ভালো করেছি কিনা বলুন না?
এই দেশে কি থাকা যায়?
যানজট মানজট নিয়ে ভাবছি।
আমার পকেটে অনেক টাকা
দামি গাড়ি,
সুন্দরী বউ,
সন্তান দুটি
একটি দেশের বাইরে...


.......
অসমাপ্ত


পুঁটিমারী, সাপটানা
লালমনিরহাট
২৯.০৫.২০০২০