কবি একাই পাড়ি দেবে সমস্ত পথ
থমকে যায় কবি! কানে আসে আওয়াজ কে যেন আমায় ডাকছে-
ও কবি শুনতে পাচ্ছ ও কবি...
কবি পেছন ফিরে তাঁকাতেই একি এযে সুনন্দিতা! এখানে ও এলো কি করে এই ধুসর পথে;
কবি তুমি কি সত্যিই এ পথ একাই পাড়ি দিতে চাও? কিন্তু আমি তোমারে কি করে একা ছেড়ে দেই বলতে পারো কবি?
জীবনের প্রথম দেখায় ছিলাম এক সাথে তবে কেন চলে যেতে চাও একাই শুধুই একা!
কবি আনমনা হয়ে চিন্তায় আচ্ছান্ন। তবে কি ঠিকই বলছে সুনন্দিতা; কিন্তু এ পথ যে ধুসর নিগূঢ় কঠিন।
কবি শোন জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই আমি ছিলাম তোমার সাথে আর এখনো আছি থাকবো জীবনভর,
সেদিন তোমায় ডেকে ছিলাম তুমি কি শুনতে পাওনি কবি? নাকি শুনেও না শোনার ভাব করেছ!
কবি আরো চিন্তায় পরে যায় সত্যিই তো কথা দিয়েছিলাম জীবনকে জয় করবো হাতে রেখে হাত তাহলে কেন লুকিয়ে চলে যাচ্ছি আমি! আমি ভুল করছিলাম বড় ভুল।
কবি এবার কোন প্রশ্ন সুনন্দিতা করবার আগেই বলে উঠে হ্যাঁ আমি হয়তো ভুলেই গিয়েছিলাম তোমার কথা!
সুনন্দিতা কবিকে আর কিছু বলতে দিতে চায়না মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরে বলে উঠে একাই যদি জীবনকে জয় করবে তবে দুঃখের দিনে কেন ডেকে ছিলে কবি।
হোকনা ধুসর কিংবা নিগূঢ় কাল এই পথ দুজন মিলেই পাড়ি দেব।
কবি মুখ থেকে হাত সরিয়ে জাপটে ধরে সুনন্দিতাকে স্বর্গিয় সুখ অনুভুত হয় কবির সমস্ত শরীরে কবি বলে সত্যিই সুখ আছে...
একটানা বলতে থাকে এখানেই স্বর্গসুখ!
আমি ভুল করে স্বর্গসুখ পান না করেই এতদিন ভুল করেছিলাম সুনন্দিতা।।