নীলাঞ্জনা অভিমান ভুলে ফিরে এসো ফিরে এসো, অভিমানে লুকিয়ে যাওয়া মনে কি করে নিজেকে লুকিয়ে রাখ।
নীলাঞ্জনা ফিরে এসো কতদিন কতরাত তোমারি অপেক্ষায়-
তুমি নেই বলে এখন আর পূর্ণিমা রাতে ভিজিনা জ্যোৎস্নার প্লাবনে দেখিনা চাঁদের আলো।
নীলাঞ্জনা তোমারি অপেক্ষায় প্রিয় চাঁদ আর রাতের প্রিয় জ্যোৎস্না..
ফিরে এসো তুমি অভিমানে ভুলে
অভিমানে লুকিয়ে যাওয়া মনে দূরে থেকে লাভ কি বল!
নীলাঞ্জনা ভুলে থেকে কিংবা দূরে গিয়ে যদি একাই গেয়ে থাক জীবন জয়ের গান; যদি অভিমানে জয় কর পরম আপনকে ভেবে নিও সেই গানে সুর আসবে না আর পরম আপনকেও আপন করা যায়না, জীবন জয়ের গান কি একা গাওয়া যায়? যদি একাই থেকে জয় করা যেত পরম আপনকে তবে ভুলে থেকে জয়ী হওয়া যেত তবে মেনে নিতাম তোমার অভিমান।
নীলাঞ্জনা অভিমান ভুলে ফিরে এসো অভিমানে কেন দূরে থাক দূরে থেকে জয়ী হবে কি করে হওয়া যায় তোমাকে যে ফিরতেই হবে অভিমান ভুলে।
নীলাঞ্জনা কতদূরে দূরত্বে গেলে  তৈরি করা যায় দূরত্বের দেয়াল? কতটা অভিমানি হলে দেয়াল হবে সীমাহীন বলতে পার
অভিমানি হলে তৈরি হয়না দূরত্বের দেয়াল; ভালোবাসায় কোন দেয়াল হয়নি কখনো হবেও না কোনদিন।
নীলাঞ্জনা ফিরে এসো অবিনাশী গানে সাম্যের চির আনন্দে অনাবিল প্রেমে জেগে উঠুক মন চেতনায় বিপ্লবে, ফিরে তোমাকে আসতেই হবে বিপ্লবই সুন্দর বিপ্লবই সত্য।
নীলাঞ্জনা ফিরে এসো দেখ সোনালি রোদ মেঠোপথ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হাসিমাখা  কৃষাণী কিংবা প্রিয় কৃষক সবাই তোমারি অপেক্ষায়-
তুমি ফিরে এসো।
নীলাঞ্জনা সাম্যের গানে চিরনতুন আনন্দে অভিমান ভুলে ফিরে এসো
তোমার প্রাণবন্ত হাসিতে এখানে সবার মাঝে লুকিয়ে থাকে প্রাণের উচ্ছাস, তুমি ফিরে এসো।