অরিন্দম:
সুনন্দিতা কাল বিকেলে
তোমার মুডটাই নষ্ট করে দিয়েছি;
তাইনা?


সুনন্দিতা:
অরিন্দম তুমি খুব নিখুঁত ভাবেই
আমাকে জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন কর
এটা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি!
আর আমায় কোনদিনটাই বা শান্তিতে
রেখেছো বলতে পার অরিন্দম?


অরিন্দম:
এভাবে বলতে পার কি করে সুনন্দিতা ;
আমিতো অমিত সম্ভাবনা দেখি
তোমার চোখেমুখে
অসাধারণ তুমি এবং তোমার বিশ্বাস।
বলতে পারো আমি প্রেমিক পুরুষ!
প্রেমিকা হিসাবে মন্দ নও তুমি...


সুনন্দিতা:
অরিন্দম একটা ব্যাপার লক্ষ্য করি
নিবিড়ভাবেই
তুমি কবি
কবিতা আর সাহিত্যের মাঝে
একটা দূরত্ব তৈরি করো আমাদের মধ্যে!
তবে কি বিরহই কবিদের বড়ো বেশি প্রিয় অরিন্দম!?
দূরত্ব তৈরি হলে তোমাদের অনেক লেখা
বের হয়
লিখে যেতে পার
অনবদ্যভাবেই;
কি ঠিক বলেছি কি?
বল অরিন্দম।


অরিন্দম:
সুনন্দিতা মাঝেমধ্যে নিজেকেই যেন
ভুলে থাকবার চেষ্টা করি
কখনো কখনো একাকিত্ব প্রিয় হয়ে যায়
বিরহ বাতাস স্পর্শ করে চেতনাকে জাগাই সুনন্দিতা।
তুমি সত্যিই অসাধারণ একজন প্রেমিকা আমার!
যার স্পর্শ আমাকে পাগল করে
হয়ে যাই বিপ্লবী
তোমার প্রেমিক পুরুষ।


সুনন্দিতা:
আজও কি পাগলামি করতে মন চাইছে তোমার অরিন্দম?
আমায় কি একটুও ভালো থাকতে দেবে না?
কঠিন পুরুষ তুমি; মানুষ হবে কবে??
নিজের প্রতি খেয়াল রেখো প্লিজ অরিন্দম প্লিজ।।


অরিন্দম:
সুনন্দিতা মাঝেমধ্যে নিজেকেই তৈরি করি
তোমার প্রেমিক বেশে
রক্তের প্রগাঢ়তা উপলব্ধি করি
বিপ্লবী মানুষ হতে চাই
সত্যিই সুনন্দিতা
আমি বিপ্লব করতে চাই।
আমাদের সংগ্রাম আত্মত্যাগ নিঃস্বার্থ
দেশপ্রেম এই সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ
মানুষ যেন আর মানুষ থাকছেনা
লোভী প্রতারক মিথ্যাচার সমাজের কিছুকিছু মানুষের মধ্যে এই ছবিটি দেখতে পাই;
টাকা কি সব কিছু?
মানবতা প্রেমে কেন এগিয়ে আসেনা?


সুনন্দিতা:
অরিন্দম প্লিজ প্লিজ
এবার একটু থাম
হতাশ হতে নেই
যা আছে তাইই নিয়ে স্বপ্ন দেখতে
হয় দেখাতে হয়
তুমি বিপ্লবী মানুষ
তাহলে!
এভাবে ভাবছো;


অরিন্দম:
তুমি কি সুন্দর করে বলো
শুধু তোমার উপলব্ধি আমাকে মোহিত করে
অসাধারণ তুমি
ধন্যবাদ।