অরিন্দম:
আজ বেশ কদিন পর তোমার সাথে দেখা সুনন্দিতা আমাদের সেই চিরচেনা কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় বসে আড্ডা একসময় লক্ষ করলাম-
মাঝে মাঝে তুমি যেন কোথাও হারিয়ে যাচ্ছ!
একটা উদাসী উদাসী ভাব, আমি বলেই যাচ্ছি তুমি কিছুই শুনছো না!
একবার আমি তোমায় ডেকেই উঠলাম। এই তুমি কি শুনছো?  
হেসে উঠি আমি আর ভাবতে থাকি কি এমন চিন্তায় ডুবে থাকো?


সুনন্দিতা:
আরে না ভাবুক কেন হব!
তবে চিন্তাতো থাকে তোমায় নিয়ে। তবে এখন তোমাকেই দেখছিলাম। অনেক দিন হল তোমার আমার অরিন্দম সেই ১৯৯৭ সাল যেখান থেকে আমাদের শুরুটা হয়েছিল। দেখতে দেখতে কতগুলো বছর! সব কিছুর কতরকমভাবে পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আমরা আছি ঠিক আগের মতোই যা প্রথম দেখায় ছিলাম।


অরিন্দম :
সুনন্দিতা তুমি কিছু লুকাতে চাইছ? তাহলে কেন আমাকে নিয়ে এত চিন্তা তোমার! আমিতো ভালাই আছি। এই চলে যাচ্ছে জীবন। মিছে ভাবনা কেন যে কর বুঝনা! আমার সমস্ত শুভময় অনুভুতিতে তুমিতো আছ। পাশেই থেকে সাহায্য করছ তাহলে?


সুনন্দিতা:
তুমি যেটা ভাবছ আমি সেরকম নয় অরিন্দম! তবে ভাবনা একেবারেই যে নেই তা বলছিনা। আমার ভাবনা শুধুই তোমাকে নিয়ে! এই যে জীবন সংগ্রামে তুমি ছুটে বেড়িয়ে যাচ্ছ অথচ আমি তেমন কোন সহযোগীতা করতে পাচ্ছিনা আরো ভালো করে যেটা করা দরকার ;
যদিও আমি জানি তুমি তোমার সাধ্যমত করে যাচ্ছ। সাহিত্য সাংস্কৃতিক চর্চা পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিয়েও কাজ করছ। জীবনকে জয় করার অদম্য ইচ্ছা সেটা তুমি ভালো করেই কর এবং করে যাচ্ছ।