কতটা দূরে গেলে তুমি সুখি হতে পার?
কতটা কষ্ট পেলে সুখ অনুভব করো
বলতে পার নীলাঞ্জনা?


অবিরাম শুভমুহুর্ত উপভোগের আনন্দ আয়োজনে
কবিতার মতো উচ্চারিত সুনিপুণ কাব্য কখনো হয়েছিলে
কবিতার অনবদ্য কাব্যে তুমিই মহারাণী;


কবিতো অনাবিল আনন্দে বিমোহিত হয়ে
কবিতার কাছে একটা জ্যোৎস্নাময় রাত চেয়েছিল! অবগাহন করতে সুপূর্ণিমার প্লাবনে।
ঠিক তখনই তুমি অমাবস্যার অন্ধকারে ঘিরে ধরেছো
নিগুঢ় কালো অন্ধকারে
সমস্ত আকাশটায় করলে তোমার অস্তিত্ব খুঁজে।


আধিপত্য বিস্তার করে
নিদারুন কষ্ট উপভোগ
আনন্দ হাসিগানে জীবনের শুভমুহুর্ত
উপভোগ করতে দিলে না।
কবি আশাহত হয়ে ভিক্ষা চাইলেন:
বললেন:
-কবিতার দৃঢ় চিত্তে
হে দেবী হে আমার মহারাণী-
কতটা দূরে গেলে তুমি সুখি হতে পার?
সুখময় বাতাস স্পর্শ করতে চাও?


কতটা দূরে গেলে তুমি সুখি হতে পার?
কতটা কষ্ট পেলে সুখ অনুভব করো বলতে পার নীলাঞ্জনা?


কবি কবিতার মতো উচ্চারণ করতে করতে বললেন:
হে মহারাণী
যদি বলো তোমার সুখ অনুভব করবার সময় এখনো শুরুই হয়নি  তবে আমিই দিতে পারি আমার নিঃশ্বাসের শেষ শব্দ!!


কতটা দূরে গেলে তুমি সুখি হতে পার?
কতটা কষ্ট পেলে সুখ অনুভব করো বলতে পার নীলাঞ্জনা?



-----♥__-


15.11.2020
লালমনিরহাট।
অসমাপ্ত