(ভাষাসৈনিক, কলমসৈনিক, স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক,
বাংলাদেশের প্রিয় প্রাণপুরুষ,
বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল লোহানী'র প্রতি
শ্রদ্ধাঞ্জলি)


মাঝে মাঝে মনে হয় যদি মৃত্যুকে জয় করতে পারতাম!
পারতাম যদি জীবনের প্রিয় আপন-স্বজনদের মৃত্যুকে ঠেকিয়ে দিতে;
তবে জয় হত সব
জয়ী হত জীবন!!
জীবন আর মৃত্যুর মাঝে ব্যবধান আকাশ পাতাল
মানুষ চলে যায়
চলে যায় জীবন থেকে পরপারে না ফেরার দেশে
ফিরে আসবার সম্ভাবনা নেই আর, আসবেনা ফিরে। মৃত্যু চিরন্তন সত্যি, আর সত্যি জীবন মৃত্যুর ব্যবধান।
তবে আপনি জয় করলেন জীবন।
আপন হাতে ঢেলে দিলেন সুধা, জাগালেন চেতনা; আমরা ফিরে আসলাম আমাদের ইতিহাসের লালিত যেখানে জয় করেছিল আমাদেরই নিংড়ানো আত্মাহুতি রক্তে কেনা বাংলা আর বাঙালিত্ব।
আমাদের ইতিহাস রচার পথে আপনিও হলেন পথিক,
হাটলেন পথ।
যে অবিনশ্বর পথের স্বপ্ন মানুষ দেখেছিল মুক্তির চির আনন্দের,
সেখানে আপনিও ছিলেন।
ছিলেন জাতির পিতার দর্শনগত আদর্শে।
মিলেমিশে একাকার হয়েছিলেন আপনি।
বাঙালির চেতনার বিপ্লব ঘটাতে আপনার সুরের আহ্বানে স্বপ্ন দেখে সন্তানহারা মা-মাটি আর এই চিরদুখি বাংলা।
যার ইতিহাসের হাতে লেগেছিল রক্ত
লাল টকটকে রক্ত মিশে তেরশত নদী পেরিয়ে ছুঁয়েছিল মহাসমুদ্র।
আপনিতো তাঁদের একজন স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার এই গণবিক্ষোভ গণযুদ্ধ আমাদের রক্তে কেনা ১৯৭১
প্রাণের চেয়ে প্রিয় স্বাধীনতার
আপনিই
অমর যোদ্ধা।
আপনিই কলমসৈনিক মুক্তিযোদ্ধা
শান্তির বাণী ছড়িয়ে যে বিপ্লবের মন্ত্রে উদযাপিত হওয়া যায় আমরা শিখলাম মন্ত্রের মতো দৃপ্ত উচ্চারণ।
যারা এখনো পথে ঘাটে ছড়িয়ে লিখে যায় কবিতা, কিংবা হয়ে যায় কবি।
আবার তারাই কবিতা গানে ছুঁয়ে দেয়।
মনে-প্রাণে বাঙালি জাতির মহাসংকটে দাঁড়িয়ে যায় পথেঘাটে মাঠ পেড়িয়ে সবুজময়তায় খুঁজে নেয় আপনার অমর সব বাণী।



................
ফুলবাড়ি বাজার,
কুড়িগ্রাম।
২০.০৬.২০