কালরাতে স্বপ্নে এসেছিলে
মধ্য রাত ছিল আলোকময় সুপূর্ণিমা
রাইরে কেউ নেই রাস্তায় নেই কোলাহল।
সবাই ঘুমিয়ে গেছে-
মা আজ মনে হয় ক্লান্ত ঘুমিয়ে পড়েছে
এতো রাতে দুবার মুঠোফোনটা বেজে উঠে
কে ফোন দিচ্ছে;
নিশ্চয়ই নীলাঞ্জনা...
উঠোনে দাঁড়ানো কদমগাছে
টুপটাপ রান্নাঘরে চালে শব্দ!
কদমগুলো পেকেছে তাই ঝরে পড়ার শব্দ।


একা আমিই কেউ নেই উঠোনে
শুধুই একা
আমার কেউ কি ছিল কখনো?
প্রশ্ন করি নিজেকে? উত্তর নেই।


বয়সের সাথে মনটাও কেন বদলায়
বদলায় তার রঙ
জীবন যদি বসন্ত ধরে রেখে দিত!
নিজেই হেসে উঠি
হা হা হা!


জীবন আর মধ্য বয়স
সব কি তারাতাড়ি শেষ হয়
কিন্তু চাওয়া কখনো শেষ হয়না।


বাস্তবতা বড়ো কঠিন
এখানে প্রেম আসে বসন্তের মতোই;
শুধুই বসন্তের প্রথম প্রেমের অনুভূতি
সত্যেই অসাধারণ...


বাস্তবতা বড়ো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
নিজের দায়িত্ব পালন করা তারচেয়ে বেশী
কঠিন।
অনেক সময় চলে গেল -
জীবন থেকে।


রাত চারটা বাজে
তবুও কদমগাছে ফাঁকে
উঁকি দেয় সুপূর্ণিমা!


চাঁদের আলো এখন একটু কমে গিয়েছে
কিন্তু আমার দিকে অবিরত চেয়েই-


যদি কবি হতাম!
লিখতাম নিশ্চয়ই কবিতা, গান।


কবিরা বড্ড বেশি অভিমানী
যদিও কবিদের নিয়ে গবেষণা করিনি!
ইচ্ছেও নেই
কবিরা ভালো মানুষ
আলোকিতজন স্বজন
আমাদের জ্ঞানের দিকে ধাবিত করেন।


রাত শেষ তবুও একা
এখানে কেউ নেই উঠোনে দাঁড়ানো আমিই একা...
আর কারোই থাকবার কথা নয়।।
নীলাঞ্জনা এখনো নিশ্চয়ই গভীর ঘুমে...