সাবধান, তুমি আমার হাত ছুঁতে এসোনা দ্বিতীয়বার।
যদি আস, স্পর্শের গায়ে বজ্রপাত ঢেলে দেব।
পুড়ে যাবে আকাশের বুক, নীল ডাকবে কলঙ্ক ধোঁয়ায়।
শরতের মেঘ পুড়ে পুড়ে বৈশাখী ঝড়ের সহযোদ্ধা হয়ে যাবে।
পাতালবাড়ি, তাল গাছ, সবকিছু সমূলে উগরে ফেলবে।
বৈশাখীর জমাটবদ্ধ বাতাসে তোমার হাতে কাঁপুনি আসবে।
কাঁপুনি কাঁপুনি হাতে চুলে খোপা বাঁধা যাবে না আর।
চুলে খোপা না হলে চাঁদ তোমার দিকে থাকাবে না।
চাঁদ তোমার পানে না থাকাতে থাকাতে অলস হবে।
চাঁদের চলে আসবে বার্ধক্য, বার্ধক্যজনিত কারণে মরণ অবধারিত।
পৃথিবীর মগজ তীক্ষ্ণকন্দ মেজাজে প্রেমহীন হয়ে থাকবে অবিরত।
প্রেমের অভাবে মানুষ উন্মাদ হয়ে রক্ত খেলায় মেতে উঠবে।
মাটির ছিদ্রপথ রক্তে হবে টইটম্বুর।
নদী সাগরের মাছ হনহন করে জল খুঁজবে।
বাষ্পীয় রক্ত আকাশে মেঘ হয়ে রক্ত বৃষ্টি হবে।
রক্ত বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ থাকবে না।
রিমঝিম না থাকলে তোমার পায়ের নূপুরে থাকবে না শিঞ্জন।
শিঞ্জন না থাকলে তোমার কানের দুল দোল খেলবে না।
কানের দুলে দোল না হলে প্রেমিকের পায়ে ছন্দ থাকবে না।
প্রেমিকের চলায় ছন্দ না থাকলে বসন্তোৎসব কে করবে?
বসন্ত না থাকলে অলি কলি স্পর্শ করবে না।
১২ বছর পরপর আমার হাত স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই।
অলি কলি স্পর্শ করে ফুল ফোটাক। তা-ই ভালো।
তাই বলছি, আমার হাত ছুঁতে এসোনা দ্বিতীয়বার।
সাবধান।
সামনে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।।