ভুলতে পারিনা,
আমাকে ভুলতে দেয়না সেদিনের ঝরা অশ্রু জল।
বুকের ক্ষত প্রতিনিয়ত স্মরণে আনে তোমার ছল।
পৃথিবীর কিছুতেই ঘৃণা ছিলনা ক্ষণকাল।
যে লোভে তুমি প্রবঞ্চক, শুধু এখানেই
আমার ঘৃণা আজন্ম, অনন্তকাল।


তোমার স্পর্শের প্রহর মনে এলেই
শজারুর তীক্ষ্ণ শলাকা চোখে স্পষ্ট হয়; শিহরিত হই।
হাসির ঘোলাটে প্রতিধ্বনি কানে এলে,
শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভূলুণ্ঠিত স্থাপনার শব্দ স্বাভাবিক মনে হয়।
তোমার দেয়া প্রতিশ্রুতি মনে এলে,
ভাসমান কচুরিপানায় ভরসা না রাখার অবহেলা আজ পীড়ন দেয়।
মাঠের শুকনো ঘাস যেমন বিবর্ণ-ফ্যাঁকাসে,
আমাকে ঘিরে তোমার যত্রতত্র ভাবনাগুলো আজ ঠিক তেমন।
অনুভূতি নাই, সহানুভূতি নাই।
যে স্বপ্নের পথ ধরে বাঁচতে বলেছিলে,
ভেসে ভেসে আমি আজ শ্মশানের জলন্ত অগ্নিকুণ্ডে।


মামা বাড়ির আষাঢ় মাস,
শরতের আকাশ,
বাদল হাওয়া,
ভেজা কাদা,
ধুলো মাখা রাস্তা,
সরু বাঁকা পথরেখা দেখে না তোমায় বহুকাল।
এ বিপন্ন বেলায় তারা চিনে না আমায়।
যে ভূমির দিন-রাত-ভোর তোমার, শুধু সেখানেই
আমাকে আমি করেছি নিষিদ্ধ আজন্ম, অনন্তকাল।


কাকঘুমে বাঁচাই নিজের সত্তা, কালঘুম লাপাত্তা।
দেয়ালে পেরেকে আটকানো পুরনো ক্যালেন্ডারে স্মৃতিটুকুই
আমার আত্মা।