আমার এ প্রতীক্ষা বহুকালের,
পাহাড়দের শতবর্ষী গাছের জন্মলগ্ন হতে।
ভেবেছিলাম সূর্যের আলোর মতো তুমি স্পর্শ দিবে,
সবুজ দিবে, সতেজ দিবে।
এলে না, কালের পর কাল হারালাম অবলীলায়।
শত শত বর্ষায় কদমফুল ভেসে গেল অবহেলায়।
কোথায় রয়েছ তুমি কোন সে জলশূন্য বর্ষায়?
কোন সে পাহাড়ের কচি উচ্চতায়?
কোন সে সমুদ্রের তুলতুলে তলায়?
কোন সে ঝর্ণার কঠিন মাটির শীতলতায়?
কবে আসবে তুমি? কবে, কোন অপরাহ্নে?
প্রতীক্ষার অবসান কি হবে না কালে কালেও?
আমার প্রতীক্ষাকে তুমি কি করবে মৃত্যুহীন?


জানি তুমি ভালোবাসো মর্মরধ্বনি, তাই
শুকনো পাতা হয়ে ঝরে পড়ি উঠুনে উঠুনে,
তোমার শৈশবের উঠুনে, তোমার যৌবনের উঠুনে।
এবার হাতে তোলে মুষ্টি বদ্ধ করে প্রিয় শব্দ শুনো কানে কানে।
তোমার আঙ্গুলের বিস্তৃত সৌন্দর্যের স্পর্শে ধ্বংসে আমার কোনো আপত্তি নেই।
প্রতীক্ষাকে হত্যা করো শব্দে শব্দে।
প্রতীক্ষার আততায়ী হও, তবেই আমি বেঁচে রইবো।
টুকরো টুকরো ধ্বংস হয়ে পাপড়ির মতো তুলতুলে কান দিয়ে প্রবেশ করবো তোমার হৃদয়ে।
ঝিনুকের মুক্তোর আলোতে তোমাকে দেখবো তাই
এসো মজবুত আড়ালে।
চুমোয় চুমোয় বাড়িয়ে দেবো নিঃশ্বাসের গতি তাই
এসো উলঙ্গ গালে।
এসো হে প্রাণাধিক, এ সংলিপ্ত প্রেমিকের নিমন্ত্রণে।