মানুষে মানুষে ভেদাভেদ হয়
কোন ধর্মের বাণী?
মূর্খের দল তোরা না বুঝেই
করছিস টানাটানি।


মোল্লার সাথে ইফতার করি
দূরে চলে যেতে চায়,
মনে হয় যেন নাসিকার দ্বারা
গায়ের গন্ধ পায়।


একই মোল্লা বিয়ের আসরে
এক সাথে বসে খায়,
ওখানে কী সব নামাজিরা আসে?
না অন্য লোক যায়?


নামাজের বেলা গরিবের পিছে
রাজাদের মাথা নত,
কোন ভেদাভেদ মসজিদে নেই
বেরিয়েই শতশত।


সনাতনী যারা মন্দিরে গেলে
ভেদাভেদ খুঁজে পাই,
অথচো সবাই এক স্রস্টার
গুণগান গেয়ে যাই।


নিরামিষভোজী সাধু নাকি তারা
আমিষের দলে নাই,
অপমান হই সাধুদের সাথে
বসে যদি খানা খাই।


এটা তোমাদের বানানো নিয়ম
ধর্মের গুরু বলে,
সারাদিন পর ভক্তের ঘামে
ঠিকই ভরে নাও থলে।


সম্মান করি তবু বলে যাই,
অহমিকা যাও ভুলে,
খাঁটি গুরু যারা নিরাপদ ঘুম
দেয় ভক্তের কোলে।


মানুষের মন মেরামত করা
তোমাদের হলো কাজ,
তোমরাই যদি ভেঙে দাও মন
পাইযে ভীষণ লাজ।


যদি বলো ভুল!এই সব হয়?
কবির নষ্ট মাথা,
ডানে-বামে দেখো থালা কার ভাগে
কোথায় কলার পাতা।


আরো যদি বলি খেয়াল করবে
দিতে জানে যারা তেল,
দুনিয়ার হক মেরেখাবে তারা
তোমাদের হবে জেল।


আমরা যারা অশুদ্ধ মানব
শুদ্ধ হতেই যাই,
বিনিময়ে শুধু চামচার দ্বারা
অবহেলা শুধু পাই।


আসা যাওয়ার একই রাস্তা
এক জলে করি স্নান,
বিধাতা সবারে আগুন বাতাস
সমান করেছে দান।


নামের মোল্লা নামের সাধুরা
এসব করতে পারে,
ভক্তের খায় ভক্তের পরে
অবশেষে ছুঁড়ে মারে।