বাংলাদেশের কান্না শুনতে পারেনা বধির নাগরিক,
একাত্তরের বীর সেনাদল দিচ্ছে জাতিকে শতধিক।


বিবেকের ক্ষত কবরস্থানে সত্যের হচ্ছে দাফন,
'মিথ্যা' পরছে বিজয়মাল্য, কুচক্রীর আস্ফালন।


বিশৃঙ্খলা উদ্ভিদ ন্যায়ে ছেঁয়েছে সমাজ ধরাতলে,
শান্তি কিরন হারিয়ে ফেলেছি তপ্ত সাহারার প্রলয়ে।


চূরাবালি ঘেঁটে শান্তি খুঁজতে নেমেছে অজস্র অজ্ঞ,
পাথরের বুকে ভগোবান পেতে অজ্ঞদল করে যজ্ঞ।


রাজনৈতিক অধ্যায় জুড়ে দুর্গন্ধের নর্দমা,
দুর্নীতির ঐ শিকড় তুললে রাষ্ট্রটা হত সুষমা।


চাপা কান্নার মধ্য সাগরে ভাসছে সোনার জনপদ,
গুমট মেঘের ছাউনি তলায় দেশটা পাচ্ছে হরকত।


ভীতির রোমালে মুখ ঢেকে রয় সুশীল সমাজের কর্তা,
স্বৈরাচারীদল লাথিয়ে লাথিয়ে দেশটা করছে ভর্তা।


আর কতকাল মুখ বুঝে রবে বাংলা মায়ের সন্তান?
শত্রুমুক্ত করতে দেশটা উড়াবে যুদ্ধের নিশান।


একাত্তরের বীরের জাতিরা উঠো আর একবার গর্জে,
দেশের কান্না থামাতে এবার রুখে দাঁড়াও শৌর্যবীর্যে।