সিনেমার গল্পতে ঢেউ তোলে সরকার,
মহা সেই মুভিটাকে পেলো প্রজা উপহার।
স্মরণীয় হয়ে রবে আঠারোর ইতিহাস,
কতডিম দিলো দেখো নারী সেই পাতিহাস?
তাজ্জব হলো মন সিনেমার দৃশ্যে,
রচলো কে এ সিনেমা গোলাকার বিশ্বে?
নায়কের জায়গায়, হিরোইন দুইজন,
বুদ্ধির দমকায় কাড়ে সব শ্রোতা মন।
অপ্সরী নায়িকা সে পেলো না তো কূলে ঠাঁই,
ভরা নদে ভেসে ভেসে আল্লার কৃপা চাই।
খলনেতা আছে পাশে পুরুষের বেশ পড়ে,
লালসার স্বাদ দিলে ছুটে এসে পায়ে ধরে।


নায়িকার কব্জায় থেকে করে ফন্দি,
সিনেমার আড়ালেতে জনগন বন্দি।
হিরোইন পর্দায় ঘোমটায় ঢাকে কেশ,
রাত হলে রাক্ষুস গিলে খায় মহাদেশ।
প্রজাগণ নিরুপায় রাক্ষুস ভয়ে তাই,
রাক্ষুস এলে দোরে মনেমনে কৃপা চাই।
দালালের দলে ভরা প্রজাদের চারপাশ,
রাত হলে "হাকদিয়ে টাকা ছাড়া দেহনাশ"।
ঠেকা খেয়ে প্রজাগণ সন্ধ্যায় ছাড়ে ঘর,
জঙ্গলে রাতকাটে নিশ্চুপ রাখে স্বর।
জমকালো সিনেমার মাঝখানে পর্ব,
রিয়াছিল আড়ালেতে নায়িকার গর্ব।
গর্বতে সুর প্রাণে কথাগুলো হয় ঢোল,
মধুঝরে ঠোঁটজুড়ে গালে পড়ে মৃদু টোল।
প্রজাগণ সাবধান রাক্ষস হতে তাই,
ক্ষমতার ধস চাই, বুঝে গেছে নায়িকায়।
নীলজাল ফেলে দেশে প্রজাদের ক্ষমতায়,
ভোটহীন প্রজাদের দিনকাটে ভয়ে তাই।
যোগ ভাগ কষে বসে ক্ষমতায় থাকতে,
মনগড়া ভোট করে ক্ষমতাকে রাখতে।
হিরোইন হয়ে তিনি বড় লোভি রাক্ষুস,
গুম-খুন সারাদেশে আছে লিপি চাক্ষুষ।
প্রজাগণ বুঝে গেছে আছি কার কবলে,
উঁচু হলে শিরখানে বিষ ছাড়ে ছোবলে।
সেজন্য প্রজাগণ করে না তো ফুসফাস,
পশুঘরে চেয়ে দেখি করে ওরা বসবাস।