যে মহামানবের সৃষ্টি না হলে, হত না এই জগত সৃষ্টি,
মহান আল্লাহর রহমত পেয়ে, মানবজাতি পেলো দৃষ্টি।
সর্বকালের সর্বযুগের সেরা, সর্বশ্রেষ্ঠ সে মহা মানব,
আবির্ভাবের সময় মক্কাজুড়ে,কাফির ছিল হিংস্র দানব।
রাজনৈতিকসহ অর্থনৈতিক, সমাজনৈতিক সব ধর্মে,
অধঃপতনের শীর্ষস্থানজুড়ে,ডুবে ছিলেন অসভ্য কর্মে।
পাঁচশত সত্তর খ্রিষ্টাব্দ ক্ষণে, কুরাইশ গোত্রময় স্তম্ভে,
জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ, মাতা আমিনার প্রিয় গর্ভে।
পাঁচ মাস বয়স না পেরোতেই, পিতা আব্দুল্লাহ মরলো,
লালনপালনের দায়িত্বটুকু, দাত্রী হালিমা বিবি ধরলো।
বিবি হালিমার নিজপুত্র এক, ছিলেন তখন নিজবক্ষে,
শিশু মুহাম্মদ ডানস্তন খায়, বামটি রেখেছিল সুরক্ষে।
সাম্য প্রতিষ্ঠার মহান আদর্শ,দেখিয়েছেন নবী ইনসাফে,
ছিলেন নবীজী বছর পাঁচেক, দুগ্ধ মাতার বক্ষ সমীপে।
জন্মদাত্রী মা আমিনার নিকটে, ফিরলেন মুহাম্মদ পুত্রে,
বছর ছ'য়ে মদিনায় গেলেন, পিতৃতীর্থ জিয়ারত সূত্রে।
মদিনা থেকে ফেরার পথেই, মাতা আমিনার ইন্তেকাল,
এতিম নবীর দায়ভার নেয়, চাচা আবু তালেব হয় ঢাল।
দুঃখ বেদনার মধ্য দিয়ে নবী, আমানতদারী সেঁ হলেন,
চরিত্র ও সত্যবাদীতার জন্য, বিশ্বাসীর খেতাব পেলেন।
মানুষ হত্যার নৃশংস খেলায়, কাফিরের নৈমিত্তিক চিত্র,
এমন দৃশ্য দেখে কষ্টের নবী, দারুণভাবে হলেন ক্ষিপ্ত।
চৌদ্দ বৎসর বয়সে মুহাম্মদ,হিলফুলফুজুল সংস্থা গড়ে,
মক্কানগরে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে, নিষ্পেষিত পক্ষে হাল ধরে।
কর্মদক্ষতা ও সততারগুনে, বিশ্বস্ততার সাগরে ভাসে,
মোহিত হলেন বিধবা খাদিজা,মুহাম্মদের চরিত্রআকাশে
অক্ষরবৃত্ত ১২+১০
(চলবে....)