সুশীল নগরে উৎপাত করে জংলি কাকের লোভী দল,
পরের মাথায় বেলের মগজ খেতে ওরা করে কৌশল।
শান্তির ফুল ফুটতে দেখলে হামলে পড়ছে বুনো কাক,
ভাগাড় আহার করতে মরিয়া উৎসুক স্বরে দেয় ডাক।
দেশটা চুষেও, হয়নি ক্ষান্ত সমাজ করেছে নিরুপায়,
নিজের গলিতে বাঘ সেজে রয় কুত্তা চামড়া ঢেকে গায়।
বিষ্ঠা খুঁজতে রাতেও লাফায় সমাজ বনের চারিদিক,
ঘৃণার আঁখিতে আচড় বসিয়ে, দিচ্ছে মানুষ শত ধিক।।
জন অরণ্যে আঙ্গুল নাড়ে ভাগাড় খাদক নাতিপুতি,
বিবেক তাদের গায়ের পোষাক কখনো পরছে লুঙ্গি ধুতি।
মগডালে উঠে উৎপাত জাতি নিচেতে গড়ায় চাষী ওই,
হাবুড়ে-জবুড়ে ময়লা খাচ্ছে, ভাবছে খাচ্ছে খই দই।
পচে ফানা হয় জোবানের দানা কুলষে ভরেছে নিকোটিন,
চৈত্র খরায় পুড়ছে শরীর আসবে কখন আশ্বিন?
কাওয়া দলের উগ্র ভাষণ পক্ষিকূলের জাগে ভীতি,
রাত্রি নামলে তাঁদের গুহায় নষ্ট করছে আলো স্মৃতি।
শান্তির বন সাহারার মাঠ, কাকের প্রণয় আঁখি কাড়ে,
উচ্ছ্বাসগুলো কবর দিয়েছে নীতির শ্মশান ঘাটপাড়ে।
উত্তরণের সূত্র বানাও জংলি কাকের দল থেকে,
নইলে চোখের অশ্রু খোসবে সোনার বাংলা দুখ দেখে।