মহামারির সব কয়টা দিন যাচ্ছে কেটে দিল্লি,
চেনা মানুষ পাই না খুঁজে; ডাকি যতই চিল্লি।
লকডাউনের গোলকধাঁধায় বন্দী হোটেল ঘরে,
"রাস্তাঘাটে যাওয়া নিষেধ" গেলেও তুমি মরে।


হোটেল মালিক মহিলাটার বয়স আশির বেশি,
মৃত্যু ভয়ে হাতে রাখে এলকোহলের শিশি।
মুখের কথা বেজায় কড়া হিসাবেতে পাকা,
স্বামী গেছে শ্মশান ঘাটে, মাজায় ছুরির শাখা।


বোকড়া দাঁতের হিন্দী ভাষা বুঝিনা তার আমি,
তার চলাচল দেখলে পথে হইনি অগ্রগামী।
সন্ধা নামলে ছাদের বাটে দেখি রাস্তার দৃশ্য,
যানবাহনে পূর্ণ ছিলো সে পথ এখন নিঃস্ব।


প্রতি ঘরের জানলা দিয়ে দিচ্ছে মানুষ উঁকি,
বন্দী ঘরে হাসফাঁস করে নেই কেউ আর সুখি।
তারার সাথে গল্প করি বসে ছাদের কোণে,
উথালপাতাল স্বপ্নগুলো ঝিমিয়ে যায় মনে।


স্বদেশ ফেরার চিন্তাগুলো জমে আছে মাথায়,
লকডাউনের অসহ্যদিন কেমন করে কাটায়?
মনের সাথে যুদ্ধ করে আর পারিনা আমি,
স্বদেশ প্রেমের স্মৃতিগুলো অনেক বেশি দামি।