ধূলো-বালি লয়ে আমি
খেলি খেলা নিশীথ,
উষ্ণ বায়ু এলে খুঁজি-
পরশ পাথর বিবিধ।
নিয়ম করে গড়ি আমি
ধূলোর মহা প্রাসাদ,
শ্যাকরা হয়ে ধৌত করি
সোনার চুড়ির খাঁদ।
কাব্য প্রাসাদ গড়ি আমি
শব্দ কণা দিয়ে,
শক্ত শব্দ গাঁথতে গেলে
ধূলো আসে উড়ে।
ধূলোর বুকে দেখি আমি
কাব্য চাষের ভূমি,
আমি কবি বর্গা চাষা
মালিক স্রষ্ট্রা তুমি।
অর্থবহ শব্দ বীজফল
রোপণ করি কাব্যে,
ধূলোর বুকে আবাদ করি
বাংলা ভাষা শব্দে।
ধূলোর মাঝে গজে উঠে
সাহিত্যিকের সৃষ্টি,
গান-কবিতা উপন্যাসে
ঝরে লেখার বৃষ্টি।