পথেঘাটে দেখি আহাজারি ভরা মজুরের মুখখানি,
শুকিয়ে উপোস মলিন মুখটা  - টেনে সংসার ঘানি।
রিক্সার চাকা থমকে দাঁড়ালে - উঠে না উনুনে হাঁড়ি,
করোনার আগে পরিবার দিয়ে -বয়ে যায় মহামারি।


পেটের চামড়া শুকিয়ে ঠেকেছে - মেরুদণ্ডের সাথে,
চোখের অশ্রু ফুরিয়ে গিয়েছে ---বল্ নেই দেহটাতে।
টোকাই ছেলেটা লুটিয়ে পড়েছে ডাস্টবিনের পাশে,
মরু হাহাকার মানব হৃদয় কেও তো দুখে না আসে।


নুনভাত টুকু জোটে না কপালে থামালে দেহের কল,
সুখের স্বর্গ চাই না ভুবনে --- চোখে ঝরে নোনাজল।
রিক্সার চাকা গড়ালেই পথে - পুলিশের বাধা কতো,
বুঝের মলম দিয়েছি তাদের হাহাকার আছে যতো।


মজুরের মাঝে লকডাউন কী -- দেখে যাও পরিনাম,
পিঠের বাকল তুলেছে পিটিয়ে - করে শত অপমান।
পেটের আগুন জ্বলে দাউদাউ দিয়েছে কপালে হুক,
আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে মাথায় -- পিষণ হয়েছে বুক।


উনুনে আগুন নিভেছে দুদিন জ্বলেনি গতিতে আর,
অনাহারে মরে বিবি ও বাচ্চা,-- পায়নি খাবার ধার।
ক্ষুধায় লুটিয়ে বাচ্চা মেয়েটা ভুল ভাল্ বুলি ছোড়ে,
আকাশের বুকে গরম রুটিটা কেমন করে মা উড়ে!


ছিঁড়ে খেতে চাই রাতের চাঁদটা কোলের ছোট্ট মেয়ে,
আলোর ঝর্ণা হাত ভরে যায়, ক্ষুধাত মেটেনা খেয়ে।
ঘরের দুয়ারে লকডাউন নয় ---- হয় মজুরের মুখে,
খাবার বিহীন ধুকেপুকে মরে -- পাথর বাঁধিয়া বুকে।


দিতে আসে যারা ত্রাণসামগ্রী বোঝনী তাদের নীতি,
অসহায়দের লাথি মেরে পেটে শোনায় শান্তি গীতি।
গরিবের হক চেটেপুটে খেয়ে --গোডাউন করে ভুড়ি,
একমগ চাল দিতে গেলে দান ছবি তোলে শত ভরি।


সৃষ্টি করেছে জগত মোহিনী ডাকি তাঁকে প্রাণ খুলে,
রহম করো হে মহান মাবুদ ----- মহামারি নাও তুলে।
সইতে পারে না তোমার বান্দা --অতিসই দিলে চাপ,
আখেরি নবীর উম্মত ভেবে ----করে দাও প্রভু মাপ।