মৃত্যুভয়ে ভীতু দেখি বিশ্বে প্রতিজন,
প্রাণ নিয়ে গুপ্ত ঘরে, আছে সারাক্ষণ।
ঘর থেকে গেলে দোরে মৃত্যু যদি হয়!
হৃদমাঝে চেপে বসে আছে মৃত্যুভয়।
প্রাণ নিয়ে তবু সবে করে কত ফন্দি,
সুদ ঘুষ একহাতে করেছে যে সন্ধি।
ক্ষণিকের সুখ পেতে কালো পথেচলে,
বিবেকের সে দংশনে মরে বহুদলে।
যার দেহে আছে প্রাণ তার হবে মৃত,
এঁকে দিছে বিধাতা যে তার আয়ু বৃত্ত।
কোন মাটি দিয়ে গড়া তার দেহখাঁচা,
সেখানেতে হবে তৈরি শেষ ঘর মাচা।
উড়ে চলে ঘুড়ি হয়ে প্রাণ সেরে বুকে,
প্রাণ ছাড়া দেহখাঁচা খায় পোকা সুখে।
ঘুড়ির নাটাই সুতা থাকে যাঁর হাতে,
তিনি মহা প্রভুজন থাকে সদা সাথে।
যুবক-যুবতি সবে থরথরিয়ে কাঁপে,
কখনো বা হাত তুলে কাঁদে অনুতাপে।
মৃত্যুকে কিসের ভয়,করো ভয় তাঁকে,
যাঁর নামে ঢেউ উঠে মোহনার বাঁকে।
তাঁর প্রেমে পড় যদি পেতে পারো সব,
তিনি হলো দয়াময় খোদা রাজা রব।