মেহেরপুরের বৈদ্যনাথের, আম্রকানন ইতিহাস,
মুক্তিযোদ্ধার প্রথম ভিত্তি সেখান থেকে করে পাশ।
আম্রশাখায় স্মৃতির ঘ্রাণ উড়ে আজও বারমাস,
অস্থায়ী সেই সরকার থেকে এ বাগানের নেই নাশ।
একাত্তরের স্মৃতির সৌধ দাঁড়িয়ে আছে গাছফুড়ে,
আঙুল তুলে মুজিব নেতা ভাষণ দেয় কোটমুড়ে।
রণাঙ্গনের যুদ্ধেরচিত্র অঙ্কন করে শিল্পিগণ,
শীলপাথরের গর্ভ থেকেই প্রসব সন্তান কাড়ে মন।
খুন-ধর্ষণ রাহাজানীর দৃশ্যে কম্পিত রণক্ষেত্র,
আগুন ছোড়ে খড়ের নীড়ে, অশ্রুভাসায় দুইনেত্র।
বিস্তীর্ণ ওই জমিন জুড়ে শায়িত আছে বঙ্গম্যাপ,
চোখের দৃষ্টি হরণ করে ভাস্করশিল্প সৃষ্টিল্যাম্প।
অকাতরেই পুষ্পকানন গন্ধবিলায় বাগ জুড়ে,
পর্যটকের ভ্রমন তৃষ্ণা মেটাই তবে এসে উড়ে।
তাঁরকাটার শক্ত দেওয়াল ভেদ করেছে দুটিদেশ,
এপাড়ে রয় মুসলিম ভিটা ওপাড়ে রয় অমরেশ।
অস্থায়ী সেই রাজধানীর নৌঙ্গড় পোতা এই তটে,
বাংলাদেশের সেক্টর ভাগ করেছে তারা এইলটে।
স্বাক্ষী সরুপ দাঁড়িয়ে রবে যুগযুগান্তর মহাকাল,
"মুজিবনগন" নামের স্থান  ইতিহাসেও তোলেপাল।